বৃহস্পতিবারপ্রধাননির্বাচন কমিশনারকেএম নূরুল হুদার নেতৃত্বে ইসির সঙ্গে সংলাপে বিধানটি বাতিলের পক্ষে মত দিয়েছে দলটি।
ধর্মভিত্তিক এ দলটির মহাসচিব মাওলানা নূর হোছাইন কাসেমীর নেতৃত্বে ১২ সদস্যেরপ্রতিনিধি দল সংলাপে তত্ত্বাবধায়ক সরকার পুর্নবহাল, সেনাবাহিনী নিয়োগ ও নির্বাচনে সবার জন্যে সমান সুয্গে তৈরিসহ১১ দফা দাবি উপস্থাপন করে।
প্রায় দুইঘণ্টাব্যাপী বৈঠক শেষে নূর হোছাইন কাসেমী বলেন, “৩৩ শতাশ নারী রাখার যে কোটা নির্ধারণ করেছে ইসি, এটা অনধিকার চর্চা। দলগুলো তার নিজেদের প্রয়োজনেই তা করবে।”
গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ অনুযায়ী, ২০২০ সালের মধ্যে দলের সব স্তরের কমিটিতে ৩৩% নারী প্রতিনিধিত্ব রাখার বাধ্যবাধকতা রয়েছে।
নারী সদস্যের বিষয়ে লিখিত প্রস্তাবে দলটি বলছে, তথাকথিত অনেক প্রগতিশীল দেশেও এ ধরনের আইন নেই। দলগুলো নিজেদের স্বার্থে সর্বস্তরের আস্থা অর্জনে নিজেদের প্রয়োজনেই নারী সদস্য করা ও তাদের দলের বিভিন্ন পর্যায়ে অন্তর্ভুক্ত-পদায়নে কাজ করবে।
“অন্যথায় দলগুলো ক্ষতিগ্রস্ত হবে। তাই এ ব্যাপারে ইসির অতি উৎসাহ দেখানো বা অহেতুক বাধ্যবাধকতা আরোপের প্রয়োজন নেই।”
এছাড়া তফসিল ঘোষণার পর থেকে সেনা মোতায়েন, প্রবাসীদের ভোটাধিকার, স্বতন্ত্র প্রার্থিতায় ১% সমর্থনসূচক স্বাক্ষরের বাধ্যবাধকতা বাতিলের প্রস্তাব রয়েছে দলটির।
বিকেল ৩টায় ন্যাশনাল পিপলস পার্টির (এনপিপি)সঙ্গে সংলাপে বসবে নির্বাচন কমিশন।
একাদশ সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে আইন সংস্কার, সীমানা পুনঃনির্ধারণসহ ঘোষিত রোডম্যাপ নিয়ে সংলাপের আয়োজন করে ইসি। গত ৩১ জুলাই সুশীল সমাজের প্রতিনিধিদের সঙ্গে সংলাপের মধ্য দিয়ে সংলাপ শুরু করে নির্বাচন কমিশন। পরে ১৬ ও ১৭ অগাস্ট গণমাধ্যম কর্মীদের সঙ্গে সংলাপ করে।
ধারাবাহিক সংলাপের অংশ হিসেবে ২৪ আগস্ট থেকে নিবন্ধিত ৪০টি রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে বৈঠক শুরু করে ইসি। এ পর্যন্ত ১৭ টি রাজনৈতিক দলের সঙ্গে সংলাপ করেছে ইসি।