এসডিজির জন্য বেসরকারি খাতের অর্থায়ন জরুরি: হাসিনা

এসডিজির লক্ষ্য অর্জনে যে বিপুল অর্থের প্রয়োজন তার যোগান দেওয়া সরকারগুলোর জন্য চ্যালেঞ্জ মন্তব্য করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, চাহিদা ও সামর্থ্যের এই ব্যবধান ঘোচাতে বেসরকারি খাতকে এগিয়ে আসতে হবে।

রিয়াজুল বাশার নিউ ইয়র্ক থেকেবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 20 Sept 2017, 05:58 PM
Updated : 20 Sept 2017, 05:58 PM

নিউ ইয়র্কে জাতিসংঘের সাধারণ অধিবেশনের ফাঁকে বুধবার ‘ক্রিয়েটিং অ্যা পলিসি ভিশন ফর এসডিজি ফাইন্যান্স: ফ্যাসিলিটেটিং প্রাইভেট সেক্টর ইনভেস্টমেন্ট ইন দ্য এসডিজিস’ শীর্ষক এক বৈঠকে একথা বলেন তিনি।  

জাতিসংঘের উন্নয়ন সংস্থা ইউএনডিপির সহযোগিতায় বাংলাদেশ ও কানাডার যৌথ আয়োজনে উচ্চ পর্যায়ের এই বৈঠক হয়।

জাতিসংঘের বাণিজ্য ও উন্নয়ন সংস্থা-আঙ্কটাডের তথ্য তুলে ধরে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী বলেন, এসডিজির লক্ষ্য অর্জনে প্রতিবছর বিশ্বের ৩ দশমিক ৩ থেকে ৪ দশমিক ৫ ট্রিলিয়ন ডলার দরকার হবে।

“এই অর্থ সংগ্রহ করা সরকারগুলোর জন্য একটি বড় চ্যালেঞ্জ হবে। অর্থায়নের এই ঘাটতি পূরণে বেসরকারি খাতকে লাগবে।”

শেখ হাসিনা বলেন, উন্নয়নশীল দেশগুলোর জিডিপির ৬০ শতাংশ, পুঁজিপ্রবাহের ৮০ শতাংশ ও কর্মসংস্থানের ৯০ শতাংশ ইতোমধ্যে বেসরকারি খাতের দখলে।

“তাই এসডিজির অর্থায়নের জন্য বেসরকারি খাতের অংশীদারিত্ব জরুরি।”

বাংলাদেশে শক্তিশালী ও আন্তরিক অংশীদার হিসেবে বেসরকারি খাত এগিয়ে আসছে মন্তব্য করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, সে কারণে বেসরকারি খাতের বিনিয়োগ বাড়ানোর লক্ষ্যে তার কার্যালয়ের অধীনে বেশ কয়েকটি সংস্থা গড়ে তোলা হয়েছে।

তিনি বলেন, সরাসরি বিদেশি বিনিয়োগের (এফডিআই) ওপর গুরুত্ব দিয়ে বড় ধরনের বিনিয়োগ টানতে কাজ করছে বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (বিডা)। বাংলাদেশ অর্থনৈতিক অঞ্চল কর্তৃপক্ষ আগামী কয়েক বছরের মধ্যে ১০০ বিশেষ অর্থনৈতক অঞ্চল গড়ে তোলার লক্ষ্যে কাজ করছে। পাবলিক-প্রাইভেট পার্টনারশিপ দপ্তর সরকারি-বেসরকারি অংশীদারিত্বের প্রকল্পগুলো এগিয়ে নিতে কাজ করছে।

“আমার কার্যালয়ের এসডিজি বিষয়ক মুখ্য সমন্বয়ক এই সব সংস্থার কার্যক্রমের ওপর নজর রাখছেন।”

এ ধরনের পদক্ষেপের কারণে বাংলাদেশে এফডিআই বেড়ে ২০১০ সালের ১ বিলিয়ন ডলারের নিচ থেকে ২০১৬ সালে আড়াই বিলিয়ন ডলার হয়েছে বলে জানিয়েছেন তিনি।

অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির পাশাপাশি সামাজিক ও পরিবেশগত উন্নয়নের লক্ষ্যে বিনিয়োগের জন্য ইউএনডিপি সোশ্যাল ইম্প্যাক্ট ফাইন্যান্স (ইউএনএসআইএফ) গড়ে তোলায় জাতিসংঘের সংস্থাটিকে ধন্যবাদ দেন প্রধানমন্ত্রী। এটা এসডিজিতে সরকার ও দাতাদের অর্থায়নের ঘাটতি পূরণে বেসরকারি খাতের এগিয়ে আসার ক্ষেত্রে এটা গুরুত্বপূর্ণ নিয়ামক হিসেবে কাজ করতে পারে বলে মন্তব্য করেন তিনি।

বাংলাদেশে ইউএনএসআইএফ’র প্রথম বিনিয়োগ ‘বিল্ড বাংলাদেশ-ইউএনডিপি ইম্প্যাক্ট ফান্ড’ নামে হবে বলে জানান প্রধানমন্ত্রী।

তিনি বলেন, চীনা ইম্প্যাক্ট ইনভেস্টরদের সহায়তা নিয়ে এই তহবিলের আওতায় গৃহায়ন প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হবে।

এই বৈঠকের পাশাপাশি এদিন ‘এসডিজি ইমপ্লিমেন্টেশন, ফাইন্যান্সিং অ্যান্ড মনিটোরিং: শেয়ারিং ইনোভেশনস থ্রু সাউথ-সাউথ অ্যান্ড ট্রায়াঙ্গুলার কো-অপারেশন’ শিরোনামে একটি বৈঠকে যোগ দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।