বাংলাদেশ সাবমেরিন কেবল কোম্পানি লিমিটেডের (বিএসসিসিএল) ব্যবস্থাপনা পরিচালক মনোয়ার হোসেন বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “আগামী ৫ থেকে ৮ অক্টোবর একটি মেরামতের কাজ হবে, রিপিটার পরিবর্তন করতে হবে। এজন্য এ চারদিন কিছুটা ধীরগতি হতে পারে।”
প্রথম সাবমেরিন কেবল এই প্রথমবারের মত লম্বা সময়ের জন্য বিচ্ছিন্ন থাকছে জানিয়ে মনোয়ার বলেন, “প্রথমবারের মত এত দীর্ঘদিনের জন্য কাটা যাচ্ছে, আমাদের ব্র্যাঞ্চে কাজ হচ্ছে, ১২ বছরের মধ্যে এটি প্রথম।”
এ সময় দ্বিতীয় সাবমেরিন কেবল থেকে পুরো ব্যান্ডউইডথ দেওয়ার চেষ্টা করা হচ্ছে বলেও জানান বিএসসিসিএল ব্যবস্থাপনা পরিচালক।
এটি ছাড়াও বাংলাদেশ ছয়টি বিকল্প সাবমেরিন কেবলের (আইটিসি বা ইন্টারন্যাশনাল টেরিস্ট্রিয়াল কেবল) সঙ্গে যুক্ত রয়েছে।
গত ১০ সেপ্টেম্বর পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় চালু হয়েছে বাংলাদেশের দ্বিতীয় সাবমেরিন কেবল ল্যান্ডিং স্টেশন।
কলাপাড়া উপজেলার গোড়া আমখোলাপাড়ায় এই ল্যান্ডিং স্টেশনের মাধ্যমে সাউথইস্ট এশিয়া-মিডলইস্ট-ওয়েস্টার্ন ইউরোপ (এসইএ-এমই-ডব্লিউই-৫) আন্তর্জাতিক কনসোর্টিয়ামের সাবমেরিন কেবল থেকে সেকেন্ডে ১ হাজার ৫০০ গিগাবাইট (জিবি) গতির ইন্টারনেট পাবে বাংলাদেশ।
বাংলাদেশে ইন্টারনেটের চাহিদা ৪০০ জিবিপিএসের বেশি। এর মধ্যে ১২০ জিবিপিএস এতদিন রাষ্ট্রায়ত্ত কোম্পানি বিএসসিসিএলের মাধ্যমে আসছিল। বাকি ২৮০ জিবিপিএস আইটিসির ব্যান্ডউইডথ ভারত থেকে আমদানি করা হচ্ছে।