ইসির ভারপ্রাপ্ত সচিব হেলালুদ্দীন আহমদ জানান, মঙ্গলবার নির্বাচন কমিশন সভায় পুরনো অচল ইভিএমগুলো নষ্ট করে ফেলার সিদ্ধান্ত হয়।
“ইসির ইভিএমগুলো অনেক পুরানো হয়ে গেছে। বেশিরভাগ ইভিএম অকার্যকর হয়ে পড়ে আছে, নষ্ট হয়ে গেছে। তবে কিছু ইভিএম এখনও ভালো রয়েছে; এগুলো দিয়ে আগামীতে রংপুর সিটি করপোরেশনের একটি ওয়ার্ডে ভোট করার প্রস্তুতি নেওয়া হবে।”
ইসি কর্মকর্তারা জানান, কোটি টাকা ব্যয়ে তিন দফায় বুয়েটের সহায়তায় সহস্রাধিক ইভিএম প্রস্তুত করে সাবেক এটিএম শামসুল হুদার কমিশন।
২০১০ সালে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন নির্বাচনে একটি ওয়ার্ডে প্রথম ইভিএম ব্যবহার করা হয়। পরে নায়ায়ণগঞ্জের কয়েকটি ওয়ার্ডে, নরসিংদী পৌরসভা ও কুমিল্লা সিটি করপোরেশনের পুরো নির্বাচন ইভিএমে করা হয়। কাজী রকিবউদ্দীন আহমদ কমিশন রাজশাহী ও রংপুরে ছোট পরিসরে ইভিএম ব্যবহার করলেও পরে তা বন্ধ হয়ে যায়।
বর্তমান কমিশন দায়িত্ব নেয়ার পর নিজেদের তৈরি ইভিএম ব্যবহারের বিষয়ে চিন্তাভাবনা শুরু করে। কমিশনে এর প্রদর্শনীও হয়। পাশাপাশি একটি টেকনিক্যাল কমিটি গঠন করে দেয় ইসি।
মঙ্গলবার কমিশন সভায় পুরনো ইভিএম আসন্ন কোনো স্থানীয় নির্বাচন ব্যবহার না করার পক্ষে বেশ কিছু যুক্তি তুলে ধরে কার্যপত্র উপস্থাপন করা হয়।
অকেজো ইভিএম নষ্ট করে ফেলার সুপারিশ করে সেখানে বলা হয়, “বর্তমান ইভিএমগুলো ফিনিশড প্রোডাক্ট নয় এবং এগুলো ছয় বছরের বেশি পুরানো হওয়ায় এর কার্যক্ষমতা নেই। এছাড়া বিভিন্ন নির্বাচনে ইভিএম ব্যবহারের সময়ে সৃষ্ট কারিগরি ত্রুটিগুলোর সমাধান করা হয়নি। ভবিষ্যতে এসব ইভিএম ব্যবহারে কোনো কারিগরি ত্রুটি দেখা দিলে তার সমাধান করা কঠিন হতে পারে এবং সুষ্ঠু নির্বাচনের ক্ষেত্রে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি হতে পারে বিধায় ইভিএমগুলো অকার্যকর করার ব্যবস্থা গ্রহণ করা যায়।”
ইসির ভারপ্রাপ্ত সচিব জানান, যেসব ইভিএমের ত্রুটি সারানো যায়নি, সেসব ইভিএম নষ্ট করা ছাড়া উপায় নেই। কোন প্রক্রিয়ায় তা করা হবে তা কারিগরি টিমের সহায়তায় ঠিক করা হবে।
রংপুর সিটি করপোরেশনে ভালো অবস্থায় থাকা পুরনো ইভিএম ব্যবহারের পরিকল্পনার কথা জানিয়ে তিনি বলেন, নতুন ইভিএম রংপুরে ব্যবহার করা হবে কিনা- সে সিদ্ধান্ত এখনও হয়নি।