টিলারসন মঙ্গলবার সু চিকে ফোন করেন বলে দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বরাত দিয়ে জানিয়েছে রয়টার্স।
সেনাবাহিনীর দমন অভিযানের মুখে দেশান্তরী হওয়া রোহিঙ্গা শরণার্থীদের দেশে ফিরিয়ে নেওয়ার যে প্রতিশ্রুতি সু চি দিয়েছেন, তাকে টিলারসন স্বাগত জানিয়েছেন বলে পররাষ্ট্র দপ্তরের বিবৃতিতে বলা হয়েছে।
মিয়ানমারের রাখাইনে বিদ্রোহীদের হামলার জবাবে সেনাবাহিনীর চলমান অভিযানে গত প্রায় এক মাসে চার লাখের বেশি রোহিঙ্গা পালিয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছে। তারা বলছেন, মিয়ানমারের সেনাবাহিনী রোহিঙ্গা অধ্যুষিত গ্রামগুলোতে নির্বিচারে গুলি চালিয়ে মানুষ মারছে। ধর্ষণ ও অগ্নিসংযোগের ঘটনাও ঘটছে।
বিষয়টি নিয়ে বিশ্বজুড়ে সমালোচনার মধ্যে মঙ্গলবার মিয়ানমারের পার্লামেন্টে দেওয়া ভাষণে দেশটির স্টেট কাউন্সেলর সু চি বলেন, নব্বইয়ের দশকে করা প্রত্যাবাসন চুক্তির আওতায় ‘যাচাইয়ের মাধ্যমে’ বাংলাদেশে থাকা শরণার্থীদের ফিরিয়ে নিতে প্রস্তুত তার দেশ।
“যে শরণার্থীরা মিয়ানমারে ফিরতে চায়, ওই চুক্তির আওতায় আমরা যে কোনো সময় তাদের ভেরিফিকেশন প্রক্রিয়া শুরু করতে প্রস্তুত। আর যে শরণার্থীরা মিয়ানমার থেকে গেছে বলে চিহ্নিত হবে, কোনো ধরনের সমস্যা ছাড়াই নিরাপত্তা ও মানবিক সহায়তার পূর্ণ নিশ্চয়তা দিয়ে আমরা তাদের গ্রহণ করব।”