প্রকাশনা সংস্থা অন্যপ্রকাশ ও চেইন বুকশপ পূর্ব-পশ্চিমের উদ্যোগে মঙ্গলবার আহমদ রফিকের জন্মদিন উপলক্ষে এক আয়োজনে বই দুটির মোড়ক উন্মোচিত হয়। গত ১২ সেপ্টেম্বর ছিল তার জন্মদিন।
শুক্রাবাদে পূর্ব-পশ্চিম কার্যালয়ে এই আয়োজনে হাজির হয়েছিলেন অধ্যাপক রফিকুল ইসলাম, কথাসাহিত্যিক সেলিনা হোসেন, প্রাবন্ধিক-গবেষক মফিদুল হক ও শিশুসাহিত্যিক আলী ইমাম। শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন জাতীয় কবিতা পরিষদের সভাপতি মুহাম্মদ সামাদ, পূর্ব-পশ্চিম পরিচালনা পর্ষদের চেয়ারম্যান ওসমান গণি এবং জ্ঞান ও সৃজনশীল প্রকাশক সমিতির সভাপতি ও অন্যপ্রকাশের প্রধান নির্বাহী মাজহারুল ইসলাম।
আহমদ রফিক বলেন, “মুক্তিযুদ্ধের সময় ছিল আমাদের এক অবরুব্ধ জীবন। এক অবরুব্ধ শহরে জীবন হাতে নিয়ে চলতে হয়েছে। সাধারণ ছেলে-মেয়েদের মধ্যে স্বদেশ চেতনা জাগ্রত করতেই এ বিষয়ে বই লেখা। আর নজরুল, স্কুল জীবনের প্রিয় কবির বাইরেও ছাত্রজীবনে আমার রাজনীতির দিশারি। রবীন্দ্রনাথকে আমি যেমন বহুমাত্রিক বলি, নজরুলও তাই। রবীন্দ্রনাথের গানের মতো নজরুলের গানকেও আমি তার সৃষ্টিকর্মের সামনে রাখব।”
অধ্যাপক রফিকুল ইসলাম বলেন, জামায়াতে ইসলামী যখন গোলাম আযমকে ভাষা সৈনিক হিসেবে দাবি করছিল, তখন এই আহমদ রফিকই ভাষা সৈনিককে ‘ভাষা সংগ্রামী’ করে দিয়েছিলেন। শহীদ মিনারের স্মৃতিস্তম্ভ পরবর্তী যেটি শহীদ মিনার হল, সেটি ছিল বাংলাদেশ রাষ্ট্রের ভিত্তিপ্রস্তর-এর সঙ্গে সম্পৃক্ত ছিলেন আহমদ রফিক।
সেলিনা হোসেন বলেন, “আহমদ রফিক আমাদের ইতিহাসের মানুষ। ভাষা আন্দোলন, মুক্তিযুদ্ধকে তিনি যেভাবে দেখেছেন, তা অতুলনীয়। আজকে যে দুটি বইয়ের মোড়ক উন্মোচিত হল, সেগুলো বিভিন্ন প্রেক্ষাপটে ছোটদের জন্য লেখা হয়েছে। এটি আমাদের জ্ঞানের জায়গা তৈরি করবে।”
অনুষ্ঠানে আহমদ রফিককে ফুল দিয়ে জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানায় জাতীয় কবিতা পরিষদ, জ্ঞান ও সৃজনশীল প্রকাশক সমিতি, জাতীয় জাদুঘর, শিশু একাডেমি, সায়েন্স ফিকশন সোসাইটি, অন্যপ্রকাশ, খামখেয়ালি সভা, ঢাকা ইমপেরিয়াল কলেজ, আগামী প্রকাশনী, অনিন্দ্য প্রকাশ, জার্নিম্যান বুকসসহ বিভিন্ন সংগঠন ও সংস্থা।