ঢাকায় পোশাক কারখানায় বিক্ষোভ

চুক্তিভিত্তিক শ্রমিকদের নিয়োগ বাতিল করে নিয়মিত শ্রমিকদের দিয়েই কাজ করানোর এবং বন্ধ কারখানা চালুর দাবিতে ঢাকার দক্ষিণখানে ‘এপিএস’ নামের একটি তৈরি পোশাক কারখানার শ্রমিকরা বিক্ষোভে নেমেছে।

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 18 Sept 2017, 07:26 PM
Updated : 18 Sept 2017, 07:38 PM

সোমবার সকাল থেকে শুরু হওয়া তাদের বিক্ষোভ রাত ৯টা পর্যন্ত চলছিল বলে দক্ষিণখান থানার ওসি তপন চন্দ্র সাহা বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানান।

তিনি বলেন, “চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ শ্রমিকদের নিয়ে গত দুদিন ধরে এই কারখানায় উত্তেজনা চলছিল। নিয়মিত শ্রমিকরা চুত্তিভিত্তিক নিয়োগপ্রাপ্ত শ্রমিকদের বাদ দিয়ে তাদের দিয়েই কাজ করানোর দাবি জানিয়ে আসছিল। এতে মালিকপক্ষ কোনভাবেই রাজি হচ্ছিল না।”

ওসি বলেন, “মালিক পক্ষ আমাদের বলেছে তারা নিয়ম মেনেই চুক্তি ভিত্তিক শ্রমিক নিয়োগ করেছে। কাজের প্রয়োজনে তারা এই নিয়োগ দিয়েছে।”

রোববার বিজিএমই প্রতিনিধি আন্দোলনরত শ্রমিকদের সঙ্গে কথা বলে পরিস্থিতি স্বাভাবিক করার চেষ্টা করলেও সফল হয়নি।

এ অবস্থার মধ্যে সোমবার সকালে শ্রমিকরা কর্মস্থলে এসে ফটকে কারখানা বন্ধের নোটিস দেখে বিক্ষুদ্ধ হয়ে ‍ওঠে।

ওসি বলেন, “আড়াইশ শ্রমিক রাস্তায় অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ শুরু করলে কোটবাড়ি সড়ক দিয়ে যানচলাচল বন্ধ হয়ে যায়।

তবে পাশে দুটি বিকল্প রাস্তা থাকায় যানবাহন ওইসব সড়ক দিয়ে চলাচল করতে পেরেছে।”

শ্রমিকদের বুঝিয়ে রাস্তা ছেড়ে যাওয়ার জন্য বলার পাশাপাশি মালিকপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করলেও মালিক দেশের বাইরে থাকায় ‘কিছুটা সমস্যা’ হচ্ছে বলে ওসি জানান।

টেক্স টেক কারখানা নিয়ে কর্মসূচি

তৈরি পোশাক কারখানা টেক্স টেক কোম্পানি লিমিটেডের শ্রমিকদের বকেয়া বেতন ও পাওনা তিন দিনের মধ্যে পরিশোধ করা না হলে লাগাতার কর্মসূচি দেওয়ার হুমকি দিয়েছে গার্মেন্ট শ্রমিক ট্রেড ইউনিয়ন কেন্দ্র।

সোমবার রাজধানীর কারওয়ান বাজারে বিজিএমইএ ভবন ঘেরাও কর্মসূচি শেষে এ ঘোষণা দেয় সংগঠনটি।

সংগঠনের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বিজিএমইএ কর্মকর্তারা টেক্স টেক কোম্পানির শ্রমিকদের সমস্যা সমাধান করার জন্য তিন দিনের সময় চেয়েচেন।

“তবে তিন দিনের মধ্যে শ্রমিকদের বকেয়া মজুরি ও আইনগত পাওনা পরিশোধে যথাযথ পদক্ষেপ গ্রহণ না করা হলে আমরা লাগাতার কর্মসূচি চালিয়ে যাব।”

টেক্স টেক কোম্পানি লিমিটেডের শ্রমিকদের তিন মাসের বেতন বকেয়া রয়েছে বলে সংগঠনটি জানায়।

বিজিএমইএ ভবন ঘেরাও কর্মসূচিতে গার্মেন্ট শ্রমিক ট্রেড ইউনিয়ন কেন্দ্রের সভাপতি কাজী রুহুল আমিন, সহ-সভাপতি  জিয়াউল কবীর খোকন, কেন্দ্রীয় নেতা সাদেকুর রহমান শামীম, আবুল হোসেনসহ কারখানাটির শ্রমিকরা উপস্থিত ছিলেন।