ইনকিলাবের চাকরিচ্যুতদের ওপর হামলার নিন্দা, ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি

দৈনিক ইনকিলাবের চাকরিচ্যুতদের ওপর হামলার নিন্দা জানিয়ে এ ঘটনায় জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানিয়েছে ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়ন (ডিইউজে)।

অপরাধ বিষয়ক প্রধান প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 16 Sept 2017, 12:40 PM
Updated : 16 Sept 2017, 12:40 PM

শনিবার জাতীয় প্রেস ক্লাবে সংগঠনটির কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত কার‌্যনির্বাহী কমিটির সভায় এ দাবি জানানো হয়।

ডিইউজে সভাপতি শাবান মাহমুদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এই সভায় নেতারা হামলাকারী ও মদদদাতাদের গ্রেপ্তারের দাবি জানিয়ে বলেন, ইনকিলাব কর্তৃপক্ষ অন্যায়ভাবে চাকরিচ্যুত সাংবাদিকদের নায্য পাওনা না দিয়ে একদিকে অপরাধ করছে, অন্যদিকে পাওনার দাবিতে আন্দোলনরতদের উপর হামলা চালিয়ে আহত করে ও ব্যানার ছিঁড়ে করেছে চরম অপরাধ।

এর জন্য ইনকিলাব কর্তৃপক্ষকে চরম খেসারত দিতে হবে বলেও হুঁশিয়ারি দেন তারা।

এ অনভিপ্রেত ঘটনার জন্য ইনকিলাব সম্পাদকসহ হামলাকারীদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নিতে প্রশাসনের প্রতি আহ্বান জানিয়ে সভায় বলা হয়, তা না হলে ডিইউজে কঠোর আন্দোলনে নামবে।

ডিইউজে সাধারণ সম্পাদক সোহেল হায়দার চৌধুরীর পরিচালনায় সভায় বক্তব্য রাখেন সহ-সভাপতি আতিকুর রহমান চৌধুরী, সাংগঠনিক সম্পাদক শাহজাহান মিঞা, ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক সম্পাদক মো. মফিজুর রহমান খান বাবু, জনকল্যাণ সম্পাদক উম্মুল ওয়ারা সুইটি, নির্বাহী পরিষদ সদস্য মর্তুজা হায়দার লিটন, সলিম উল্লাহ সেলিম, জান্নাতুল ফেরদৌস চৌধুরী, দেবাশীষ রায়, মঞ্জুশ্রী বিশ্বাস, সোহেলী চৌধুরী, এমরান আমিন।

সোহেল হায়দার চৌধুরী বলেন, গত ৩০ এপ্রিল থেকে ৯ মে পর্যন্ত ইনকিলাব কর্তৃপক্ষ প্রায় ২৬ মাসের বেতনসহ অন্যান্য বকেয়া রেখে শতাধিক সাংবাদিক-কর্মচারীকে চাকরিচ্যুত করে।

এই পাওনা আদায়ের জন্য সাংবাদিক-কর্মচারীরা আন্দোলন শুরু করলে মালিকপক্ষ টাকা পরিশোধের প্রতিশ্রুতি দেয়। কিন্তু নির্ধারিত সময়ের মধ্যে না দেওয়ায় বৃহস্পতিবার থেকে আবার আন্দোলন শুরু হয়।

বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়ন এবং ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়ন ইনকিলাবের সাংবাদিক-কর্মচারীদের দাবির প্রতি সমর্থন জানিয়ে বৃহস্পতিবার ঢাকার আর কে মিশন রোডে ইনকিলাব কার্যালয়ের সামনে অবস্থান কর্মসূচির ঘোষণা দিয়েছিল।

ওই কর্মসূচি চলাকালে রাতে আন্দোলনরতদের উপর হামলার ঘটনা ঘটে।

ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক সোহেল হায়দার চৌধুরী ওইদিন জানিয়েছিলেন, শান্তিপূর্ণ অবস্থান কর্মসূচি চলাকালে রাত ৯টার দিকে মালিকপক্ষের লোকজন হামলা চালায়।

“তারা ভবনের উপর থেকে গরম পানি ও ইটপাটকেল মারে এবং সমাবেশস্থলে ১০/১২ জনের একটি দল লাঠিসোটা নিয়ে হামলা চালিয়ে মারধর করে ও ব্যানার ছিঁড়ে ফেলে।”

হামলার ঘটনায় ইনকিলাবের সম্পাদকসহ ১৩ জনের বিরুদ্ধে ওয়ারি থানায় একটি মামলাও করা হয়।