শুক্রবার সকালে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে এক সংবাদ সম্মেলনে জঙ্গিবিরোধী অভিযানের প্রেক্ষাপটে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদারের এ দাবি জানান হিন্দু মহাজোটের মহাসচিব পলাশ কান্তি দে।
তিনি বলেন, “সারা দেশে একের পর এক জঙ্গি হামলা হয়ে গেছে। দেশের বিভিন্ন প্রান্তে জঙ্গিবিরোধী অভিযান পরিচালনা করছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। জঙ্গিরা দুর্গাপূজা উপলক্ষে মণ্ডপগুলো টার্গেট করতে পারে। আমরা আশঙ্কায় রয়েছি।”
রায় দুর্গাপূজা শুরুর আগে গোয়েন্দা তৎপরতা বাড়ানোর পাশাপাশি নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদারের দাবি জানান হিন্দু মহাজোটের সভাপতি সভাপতি প্রভাষ চন্দ্র।
গাজীপুর, সাতক্ষীরা, মানিকগঞ্জ, দিনাজপুর, বরগুনাসহ দেশের বিভিন্ন জেলায় মন্দির, মণ্ডপে প্রতিমা ভাঙচুরের কথা জানিয়ে প্রভাষ বলেন, “এবার বিভিন্ন জায়গা থেকে পূজারিরা বলছেন, তারা পূজা করবেন না। এভাবে চলতে থাকলে দেশে পূজার সংখ্যা ক্রমশ কমতে থাকবে।”
হিন্দু সম্প্রদায় সাম্প্রদায়িকতা ও রাজনীতির ‘বলি’ হচ্ছে এমন অভিযোগ এনে সংখ্যালঘু নির্যাতনের নেপথ্যে দায়ীদের আইনের আওতায় এনে কঠোর শাস্তির দাবি জানান পলাশ কান্তি।
পরে হিন্দু মহজোট নেতারা দুর্গাপূজায় তিনদিনের সরকারি ছুটিরও দাবি জানান।