সংসদের মঙ্গলবারের অধিবেশনে আইনমন্ত্রী আনিসুল হক দেওয়ানি কার্যবিধি (কোড অব সিভিল প্রসিডিউর অ্যামেন্ডমেন্ট) বিল-২০১৭ উত্থাপন করলে বিলটি কণ্ঠভোটে পাস হয়।
বিলের ওপর বিরোধী দল জাতীয় পার্টির একাধিক সদস্যের জনমত যাচাই, বাছাই কমিটিতে পাঠানো ও সংশোধনীর প্রস্তাব আলোচনার পরে কণ্ঠভোটে নাকচ হয়ে যায়।
আইনটি সংশোধনে ২৫ জানুয়ারি সংসদে বিল উঠলেও তা পরীক্ষা-নিরীক্ষার জন্য আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় কমিটিতে পাঠানো হয়েছিল।
বিদ্যমান আইনে লিগ্যাল এইড কর্মকর্তাদের কাছে মামলা পাঠানোর সুযোগ না থাকায় তারা আইনগতভাবে কিছু করতে পারেছিলেন না।
এ কারণে দেওয়ানি আদালত থেকে লিগ্যাল এইড কর্মকর্তার কাছে মামলা পাঠানোর বিধান যুক্ত করে আইনটি সংশোধন করা হয়েছে।
আইনমন্ত্রী বলেন, আইনগত সহায়তা আইনের সংযোজিত ২১ (ক) ধারায় কোনো আদালত বা ট্রাইব্যুনাল কর্তৃক স্থানীয় অধিক্ষেত্রের আওতাধীন এলাকায় কর্মরত লিগ্যাল এইড অফিসারের নিকট বিকল্প পদ্ধতিতে বিরোধ নিষ্পত্তির জন্য কোনো বিষয় পাঠানো হলে তা নিষ্পত্তির ক্ষমতা সংশ্লিষ্ট লিগ্যাল এইড অফিসারের থাকবে।
এই ধারাটি কার্যকর করতে দেওয়ানি আইন সংশোধন করার প্রয়োজনীয়তার কথা উল্লেখ করে মন্ত্রী আরও বলেন, “লিগ্যাল এইড অফিসারের কাছে বিকল্প পদ্ধতিতে বিরোধ নিষ্পত্তির জন্য কোনো বিরোধ পাঠানোর জন্য আদালতকে ক্ষমতায়নের প্রয়োজন। তাই এই বিষয়ে প্রয়োজনীয় সংযোজন আনলে বিচারপ্রার্থী পক্ষরা মধ্যস্থতা বা সালিশের পদ্ধতিতে পারস্পরিক সমঝোতার ভিত্তিতে নিজেদের মধ্যে বিদ্যমান বিরোধ নিষ্পত্তি করতে লিগ্যাল এইড অফিসরের সহযোগিতা পাবেন।”