এরা হলেন- জাহাঙ্গীরের প্রতিবেশী রাশেদা জাহেন চামেলী ও মামা হাফিজুর রহমান।
মঙ্গলবার ঢাকার এক নম্বর দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালের বিচারক শাহেদ নূর উদ্দিনের কাছে তারা সাক্ষ্য দেন বলে জানান এ আদালতের সাঁটলিপিকার ওয়ালিউল ইসলাম বাদল।
এদিন রাশেদা জাহেন চামেলীর সাক্ষ্য শেষ হলেও হাফিজুরের সাক্ষ্য শেষ হয়নি।
পরে বিচারক বুধবার পরবর্তী শুনানির তারিখ রাখেন।
এর আগে সোমবার দুই মামলায় সাফাই সাক্ষ্য দেন জাহাঙ্গীর আলমের বাবা আবুল কাশেম।
এ নিয়ে মামলা দুইটিতে আসামি পক্ষের আত্মপক্ষ সমর্থনে জমা দেওয়া ২০ জনের তালিকা থেকে ১৬ জনের সাক্ষ্য নেওয়া শেষ হলো।
মামলার আসামিদের মধ্যে খালেদা জিয়ার ভাগ্নে সাইফুল ইসলাম ডিউক, পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক (আইজিপি) মো. আশরাফুল হুদা, শহিদুল হক ও খোদা বক্স চৌধুরী, সাবেক তিন তদন্ত কর্মকর্তা রুহুল আমিন, মুন্সি আতিকুর রহমান ও আব্দুর রশীদ এবং সাবেক ওয়ার্ড কমিশনার আরিফুল ইসলাম জামিনে আছেন।
লুৎফুজ্জামান বাবর ও সাবেক উপমন্ত্রী আব্দুস সালাম পিন্টুসহ ২৩ জন কারাগারে এবং তারেক রহমানসহ ১৯ জন পালিয়ে আছেন।
এ মামলার আসামি হুজি নেতা মুফতি হান্নান ও জামায়াত ইসলামী নেতা আলী আহসান মুহাম্মাদ মুজাহিদের অন্য মামলায় মৃত্যুদণ্ড কার্যকর হয়েছে।
২০০৪ সালের ২১ অগাস্ট বঙ্গবন্ধু এভিনিউতে দলীয় কার্যালয়ের সামনে আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনার সমাবেশে গ্রেনেড হামলা হয়।
হামলায় আওয়ামী লীগের তখনকার মহিলা বিষয়ক সম্পাদিকা ও প্রয়াত রাষ্ট্রপতি জিল্লুর রহমানের স্ত্রী আইভি রহমানসহ ২৪ জন নিহত এবং কয়েকশ জন আহত হন।
সন্ত্রাসবিরোধী ওই সমাবেশে প্রধান অতিথি শেখ হাসিনার বক্তব্য শেষ হওয়া মাত্র গ্রেনেড হামলা ও গুলিবর্ষণ শুরু হয়। এতে অল্পের জন্য শেখ হাসিনা প্রাণে বেঁচে গেলেও গ্রেনেডের প্রচণ্ড শব্দে তার শ্রবণশক্তি নষ্ট হয়।
এ ঘটনায় পরদিন মতিঝিল থানার এসআই ফারুক আহমেদ বাদী হয়ে একটি মামলা করেন। বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের সময়ে এই মামলাটির তদন্ত ভিন্ন খাতে নেওয়ার চেষ্টা হয় বলে অভিযোগ উঠে, যা পরে তদন্তে বেরিয়ে আসে।