সোমবার ঢাকার এক নম্বর দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালের বিচারক শাহেদ নূর উদ্দিন তার সাক্ষ্য গ্রহণ করেন।
পরে রাষ্ট্রপক্ষের প্রধান কৌঁসুলি সৈয়দ রেজাউর রহমান এই আসামিকে জেরা করেন।
মঙ্গলবার আরেক আসামির সাফাই সাক্ষ্য শুরু হবে বলে বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানান আদালতের সাঁটলিপিকার ওয়ালিউল ইসলাম বাদল।
এ নিয়ে দুই মামলায় ২০ জনের মধ্যে ১৫ জন সাফাই সাক্ষ্য দিলেন।
সাফাই সাক্ষ্যের পর হবে যুক্তিতর্কের শুনানি, তারপরই দেওয়া হবে রায়। মামলা দুটিতে এর আগে রাষ্ট্রপক্ষের সাক্ষ্যগ্রহন শেষ হয়।
মামলায় গত ১২ জুন জামিনে ও কারাগারে থাকা ৩১ আসামির আত্মপক্ষ সমর্থনের শুনানি হয়। এতে কারাবন্দি ৩১ আসামির সবাই নিজেদের ‘নির্দোষ’ দাবি করেন। বিএনপির জ্যেষ্ঠ ভাইস-চেয়ারম্যান তারেক রহমানসহ ১৮ আসামি পালিয়ে থাকায় তারা আত্মপক্ষ শুনানির সুযোগ পাননি।
লুৎফুজ্জামান বাবর ও সাবেক উপমন্ত্রী আব্দুস সালাম পিন্টুসহ ২৩ জন কারাগারে এবং তারেক রহমানসহ ১৯ জন পালিয়ে আছেন।
এ মামলার আসামি হুজি নেতা মুফতি হান্নান ও জামায়াত ইসলামী নেতা আলী আহসান মুহাম্মাদ মুজাহিদের অন্য মামলায় মৃত্যুদণ্ড কার্যকর হয়েছে।
২০০৪ সালের ২১ অগাস্ট বঙ্গবন্ধু এভিনিউতে দলীয় কার্যালয়ের সামনে আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনার সমাবেশে গ্রেনেড হামলা হয়।
হামলায় আওয়ামী লীগের তখনকার মহিলা বিষয়ক সম্পাদিকা ও প্রয়াত রাষ্ট্রপতি জিল্লুর রহমানের স্ত্রী আইভি রহমানসহ ২৪ জন নিহত এবং কয়েকশ জন আহত হন।
সন্ত্রাসবিরোধী ওই সমাবেশে প্রধান অতিথি শেখ হাসিনার বক্তব্য শেষ হওয়া মাত্র গ্রেনেড হামলা ও গুলিবর্ষণ শুরু হয়। এতে অল্পের জন্য শেখ হাসিনা প্রাণে বেঁচে গেলেও গ্রেনেডের প্রচণ্ড শব্দে তার শ্রবণশক্তি নষ্ট হয়।
এ ঘটনায় পরদিন মতিঝিল থানার এসআই ফারুক আহমেদ বাদী হয়ে একটি মামলা করেন। বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের সময়ে এই মামলাটির তদন্ত ভিন্ন খাতে নেওয়ার চেষ্টা হয় বলে অভিযোগ উঠে, যা পরে তদন্তে বেরিয়ে আসে।