বিজিএমইএ-এর আবেদনের শুনানি ৫ অক্টোবর

তৈরি পোশাক মালিকদের সংগঠন বিজিএমইএ হাতিরঝিলে বেআইনিভাবে গড়ে তোলা তাদের ভবনটি ভাঙার জন্য আরও এক বছর সময় চেয়ে যে আবেদন করেছে, আপিল বিভাগে তার শুনানি হবে ৫ অক্টোবর।

নিজস্ব প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 11 Sept 2017, 08:18 AM
Updated : 11 Sept 2017, 08:19 AM

চেম্বার বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী সোমবার বিজিএমইএ-এর আবেদন শুনে প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বাধীন পূর্ণাঙ্গ আপিল বেঞ্চে শুনানির জন্য এই দিন ঠিক করে দেন।

কার্যালয় সরিয়ে নিতে বিজিএমইএ এর আগে তিন বছর সময় চাইলেও আপিল বিভাগ তাদের ছয় মাসের মধ্যে সে কাজ শেষ করতে বলেছিল।

সোমবার সেই ছয় মাস সময় শেষ হওয়ার আগে আরও এক বছর সময় চেয়ে গত ২৩ অগাস্ট এই আবেদন জমা দেয় বিজিএমইএ।
 
বিজিএমইএ-এর পক্ষে অ্যাডভোকেট কামরুল হক সিদ্দিকী চেম্বার আদালতে শুনানি করেন। তার সঙ্গে ছিলেন ইমতিয়াজ মঈনুল ইসলাম। অন্যদিকে রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম।
 
ইমতিয়াজ মঈনুল ইসলাম জানান, উচ্চ আদালতে বর্তমানে অবকাশ চলায় চেম্বার আদালত ছুটির পরে শুনানির তারিখ ঠিক করে দিয়েছে।

এর ফলে ভবন ভাঙতে আপিল বিভাগের নির্ধারণ করে দেওয়া সময়ের পরও আরও প্রায় এক মাস সময় পেল বিজিএমইএ।

জলাধার আইন ভেঙে নির্মিত ১৬ তলা ওই ভবন হাই কোর্ট অবৈধ ঘোষণা করার পর আপিল বিভাগেও ওই রায় বহাল থাকে। বিজিএমইএ রায় পুনর্বিবেচনার (রিভিউ) আবেদন করলে তাও খারিজ হয়ে যায়।

বিজিএমইএ সভাপতি সিদ্দিকুর রহমান গত শনিবার এক সংবাদ সম্মেলনে জানান, আদালতের বেঁধে দেওয়া ছয় মাস সময়ের মধ্যে কার্যালয় সরিয়ে নেওয়া সম্ভব না হওয়ায় আরও এক বছর সময় চেয়ে তারা আবেদন করেছেন।

“আমরা আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। নতুন ভবন নির্মাণ কাজ শেষ হলেই আমরা চলে যাব। তবে নতুন ভবন সম্পন্ন হতে আরও এক বছর সময় লাগবে। তাই আমরা মহামান্য আদালতের কাছে আরও একটি বছর চেয়েছি।

“আমরা আশা করি, সমগ্র অর্থনীতিতে এই শিল্পের অবদান বিবেচনা করে মহামান্য আদালত আমাদের এই আবেদন বিবেচনা করবেন।”

সৌন্দর্যমণ্ডিত হাতিরঝিল প্রকল্পে বিজিএমইএ ভবনকে‘একটি ক্যান্সার’ বলা হয়েছিল  হাই কোর্টের রায়ে।

বিজিএমইএ সভাপতি সেই সংবাদ সম্মেলনে বলেন, “বিজিএমইএ ৩ হাজার ২০০ কারখানা এবং ৪৪ লাখ শ্রমিকের স্বার্থ নিয়ে কাজ করে। এই বিপুল পরিমান কারখানা ও শ্রমিকের দাপ্তরিক কাজ হয় এই ভবনে।

“বিজিএমইএ মূলত বেসরকারি সংগঠন হলেও অনেকগুলো সরকারি কাজ আমাদের করতে হয়। বিজিএমইএ থেকে সদস্যভুক্ত প্রতিষ্ঠানগুলোর অনুকূলে ইউডি, ইউপি, মেশিনারি আমদানি প্রত্যায়নপত্র জারি করা হয়ে থাকে। এইসব কাজও বিজিএমইএ এর করতে হয়।”

নতুন ভবন নির্মাণের জন্য রাজধানীর উত্তরার ১৭ নাম্বার সেক্টরে অর্ধেক মূল্যে সাড়ে ৫ বিঘা বিজিএমইএকে বরাদ্দ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। গত ৭ সেপ্টেম্বর টাকা পরিশোধ করে সেই জমির দলিল বুঝে পেয়েছেন বলে সেদিন জানান সিদ্দিকুর।