এ সংক্রান্ত এক রিট আবেদনের শুনানি নিয়ে বুধবার বিচারপতি মইনুল ইসলাম চৌধুরী ও বিচারপতি জে বি এম হাসানের হাই কোর্ট বেঞ্চ এ রুল দেয়।
আদালতে আবেদনের পক্ষে রিট আবেদনকারী আইনজীবী মো. এমদাদুল হক নিজেই শুনানি করেন।
পরে তিনি সাংবাদিকদের বলেন, অতি বৃষ্টির পর চট্টগ্রাম সিটির অধিকাংশ সড়ক খানা-খন্দে ভরে গেছে। কোনো সড়ক যান চলাচলের সম্পূর্ণ অনুপযোগী।
“ফুটপাতেরও একই অবস্থা। সম্প্রতি সড়কের খাদে পড়ে একটি লরি সিএনজিকে চাপা দিলে তিনজনের মৃত্যু হয়। এরকম মর্মান্তিক দুর্ঘটনার পরও সড়ক মেরামত বা সংস্কারে কোনো উদ্যোগ নিচ্ছে না সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ। ফলে সড়ক ও ফুটপাত মেরামতের নির্দেশনা চেয়ে হাই কোর্টে রিট আবেদন করেছিলাম।”
স্থানীয় সরকার সচিব, যোগাযোগ সচিব, গণপূর্ত সচিব, চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের মেয়র, চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান, জেলা প্রশাসক, চট্টগ্রাম ওয়াসার চেয়ারম্যানকে দুই সপ্তাহের মধ্যে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
গত ১৩ অগাস্ট বন্দরনগরীর নিমতলা মোড় থেকে ৫০০ গজ দূরে বিশ্বরোডে কনটেইনারবাহী একটি ট্রেইলার উল্টে অটোরিকশাকে চাপায় দেয়। এতে ঘটনাস্থলেই দুইজন এবং হাসপাতালে নেওয়ার পর একজনের মৃত্যু হয়।
এই বর্ষা মৌসুমে নগরীর গুরুত্বপূর্ণ এ সড়কটি ক্ষতিগ্রস্ত হলেও পুরোপুরি সংস্কার করা হয়নি। সড়কটির অধিকাংশ স্থানে পিচ উঠে গেছে এবং বিভিন্ন অংশে বড় বড় গর্ত হয়েছে।