পর্নো-পাইরেসি: গাজীপুর থেকে ১৭ জনকে গ্রেপ্তার

চলচ্চিত্র ও মিউজিক পাইরেসি ও পর্নোগ্রাফি বিস্তারের সঙ্গে জড়িত অভিযোগে গাজীপুর থেকে ১৭ জনকে গ্রেপ্তার করেছে র‌্যাব।

নিজস্ব প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 23 August 2017, 01:43 PM
Updated : 23 August 2017, 01:45 PM

বুধবার দুপুরে উত্তরায় র‌্যাব-১ এর কার্যালয়ে এর অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মো. সারওয়ার বিন কাশেম এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান।

তিনি বলেন, গাজীপুরের টঙ্গীর চম্পাকলি মার্কেটে মঙ্গলবার রাতে অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।

“এরা সবাই পর্নোগ্রাফি ও পাইরেসি চক্রের সক্রিয় সদস্য।”

তাদের কাছ থেকে পাইরেসি ও পর্নোগ্রাফি তৈরির কাজে ব্যবহৃত কম্পিউটার ও আনুষাঙ্গিক সরঞ্জামাদি জব্দ করা হয় জানিয়ে সারওয়ার বলেন, “ওই ১৭ জন এবং তাদের অন্যান্য সহযোগীরা সিনেমা হলে গোপন ক্যামেরায় সদ্যমুক্তি পাওয়া সিনেমা ধারণ করে তা রেকর্ড এবং বিক্রি করত।”

তিনি বলেন, কোনো কোনো সিনেমা হলের কর্মচারীরা এ সব কাজে তাদের সহযোগিতা করতেন। তাদের বিষয়ে অনুসন্ধান চলছে।

গ্রেপ্তাররা হলেন-মো. রুবেল খান (২২), মো. মোস্তফা কামাল (২৩), মো. বাবু (৩২), মো. রিপন ইসলাম (১৮), মো. রাজু (২০), মো. রফিকুল (১৭), মো, মাসুদ রানা (১৮), মো. মনির (২৫), মো. রবিন (২১), মো. সাইফুল ইসলাম (২০), মো. তারা মিয়া (৪৫), মো. ইসমাইল হোসেন (১৮), মো. রাব্বি (১৮), মাহবুব হাসান (১৮), মো. মোমিন (১২), মো. সবুজ (২০) ও মো. রব (১৬)।

সংবাদ সম্মেলনে গায়ক আয়ূব বাচ্চু, চলচ্চিত্র পরিচালক উত্তম আকাশ ও জাকির হোসেন রাজু, এস আই টুটুল, জাজ মাল্টিমিডিয়ার চেয়ারম্যান আবদুল আজিজ, অভিনেতা ওমর সানিসহ সাংস্কৃতিক অঙ্গনের অনেকে উপস্থিত ছিলেন।

তারা পাইরেসি বন্ধ এবং পর্নোগ্রাফির মাধ্যমে চলচ্চিত্রে অশ্লীলতার সৃষ্টিতে জড়িতদের আইনের আওতায় আনার দাবি জানান।

গ্রেপ্তারদের কাছ থেকে পাইরেসি ও পর্নোগ্রাফি বিস্তারের কাজে ব্যবহৃত ২৭টি কম্পিউটার, ৭৩০টি সিডি ক্যাসেট, ৭৫টি কার্ড রিডার, ১৮টি মোবাইল ফোন সেট ও নগদ আট হাজার টাকা উদ্ধার করা হয়।

র‌্যাব কর্মকর্তা সারওয়ার বলেন, “প্রাথমিকভাবে আমরা জানতে পেরেছি, গ্রেপ্তারকৃতরা দুইভাবে পাইরেসি করে থাকে। প্রথমত সিনেমা হলে বসে ভিডিও করে, এরপর কিছু টাকার বিনিময়ে পেনড্রাইভের মাধ্যমে তা বিক্রি করে। আবার এগুলো সিডিতে করেও তারা বিক্রি করে।”

একইভাবে মিউজিক্যাল স্টুডিওর লোকের সঙ্গে যোগাযোগ করে গান সংগ্রহ করে অল্প টাকার বিনিময়ে তারা মানুষের কাছে দিয়ে দেয় বলে জানান সারওয়ার।

“ওই অসাধু চক্রটি ‘অশ্লীলতাকে একটি শিল্পের’ পর্যায়ে নিয়ে গেছে। যারা পাইরেসি করছে তারা অশ্লীল ও অরুচিকর বিভিন্ন ভিডিওর কাটপিস সিনেমার মধ্য দিয়ে দেয়। এতে করে সমাজকে অন্য একটা পর্যায়ে নিয়ে গেছে। তারা এসবের মাধ্যমে চলচ্চিত্র শিল্পকে ক্ষতির সম্মুখীন করছে, সমাজে অশ্লীল কর্মকাণ্ড বেড়ে গেছে,” বলেন র‌্যাব কর্মকর্তা সারওয়ার।