বুধবার সকাল ৮টা থেকে কমলাপুর স্টেশনের তেইশটি কাউন্টার থেকে একসঙ্গে টিকেট বিক্রি শুরু হয়। এদিন দেওয়া হচ্ছে ১ সেপ্টেম্বরের আগাম টিকেট।
কোরবানির ঈদ উপলক্ষে রেলের আগাম টিকেট বিক্রি শুরু হয় ১৮ অগাস্ট। প্রথমে ৩১ তারিখ পর্যন্ত যাত্রার অগ্রিম টিকেট বিক্রি করা হলেও চাঁদ দেখা সাপেক্ষে ২ সেপ্টেম্বর ঈদ হওয়ার সম্ভাবনা থাকায় একদিন সময় বাড়ানো হয়।
বুধবার ৩১টি আন্তঃনগর ট্রেনের বিভিন্ন গন্তব্যের ২২ হাজার ৪৯৬টি টিকেট বিক্রি করা হচ্ছে। ৩৫ শতাংশ কোটার জন্য রেখে বাকি টিকেট কাউন্টার থেকে পাচ্ছেন যাত্রীরা।
এছাড়া ঈদের বিশেষ ট্রেনের ২ হাজার ৬০৬টি টিকেটও কাউন্টার থেকে বিক্রি করা হচ্ছে।
রাজশাহী যাওয়ার টিকেটের জন্য মঙ্গলবার ভোরে কমলাপুরে এসেছিলেন ব্যবসায়ী মাহবুবুল আলম জনি। কিন্তু টিকেট না পাওয়ায় বিকেলে এসে আবার লাইনে দাঁড়ান।
“মঙ্গলবার ভোরে আসার পর আমার সিরিয়াল ছিল ৩৬৪ নম্বরে। আমি কাউন্টারের সামনে যাওয়ার আগেই টিকেট শেষ। পরে বিকালে আবার দাঁড়িয়েছি। সারারাত দাঁড়িয়ে থেকে আজ ধূমকেতু ট্রেনের টিকেট কিনতে পারলাম।”
রংপুর এক্সপ্রেসের ৩১ অগাস্টের টিকেট কিনতে সোমবার রাতে কমলাপুর এসেও মঙ্গলবার সকালে টিকেট না পেয়ে ১ সেপ্টেম্বরের টিকেটের জন্য মঙ্গলবার বিকালে আবার লাইনে দাঁড়ানোর কথা জানান বুলবুল আহমেদ নামে একজন। বুধবার সকালে তিনি কাউনিয়া পর্যন্ত টিকেট পেয়েছেন।
রাজশাহীর কোনো একটি ট্রেনের শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত কামরার টিকেটের জন্য সোমবার থেকে কাউন্টারের সামনে ছিলেন আবিদ হোসেন শান্ত। মঙ্গলবার তিনি এসি টিকেট কিনতে পারেননি। ফের লাইনে দাঁড়িয়ে চেষ্টা করে বুধবার তিনি কিনেছেন প্রথম শ্রেণি চেয়ারের টিকেট।
সকালে টিকেট বিক্রি শুরুর আধাঘণ্টার মধ্যে দেওয়ানগঞ্জ রুটের তিস্তা এক্সপ্রেসের টিকেট শেষ হয়ে গেছে বলে কাউন্টার থেকে জানানো হলে লাইনে অপেক্ষমান টিকেটপ্রত্যাশীরা হইহল্লা শুরু করেন।
রেজুয়ান আহমেদ নামের একজন অভিযোগ করেন, ‘অন্য কিছু না হলে’ আধাঘণ্টায় এত টিকেট বিক্রি হওয়া সম্ভব না।
“আমরা হিসাব রাখছি, লাইনের ২৮ জন টিকেট কেনার পর বলতেছে তিস্তার টিকেট আর নাই। এই ট্রেনে মোট আসন ৬২০টার বেশি। ২৮ জনের সবাই তিস্তার টিকেট কিনে নাই। ধরে নিলাম সবাই ওই ট্রেনের টিকেট কাটছে। তারপরও তো এত টিকেট শেষ হওয়ার কথা না।”