আসামিদের করা আপিল ও ডেথ রেফারেন্সের শুনানি শেষে বিচারপতি ভবানী প্রসাদ সিংহ ও বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলামের বেঞ্চ মঙ্গলবার এই রায় দেয়।
রায়ে মামলার আসামি সাবেক কাউন্সিলর নূর হোসেন ও সাবেক তিন র্যাব কর্মকর্তাসহ ১৫ জনের মৃত্যুদণ্ড বহাল রাখা হয়েছে।
জজ আদালতে যে ২৬ আসামিকে দেওয়া মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়েছিল, তাদের মধ্যে ১১ জনের সাজা কমিয়ে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়া হয়। নিম্ন আদালতে নয়জনকে দেওয়া বিভিন্ন মেয়াদের কারাদণ্ডের রায়ে কোনো পরিবর্তন আসেনি হাই কোর্টে।
রায়ের পর অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম সাংবাদিকদের বলেন, “এই হত্যাকাণ্ডে হাই কোর্ট বিভাগ ১৫ জনের মৃত্যুদণ্ড বহাল রেখেছে। এটাকে একটা দৃষ্টান্তমূলক রায়ই বলব আমি। আমরা স্বস্তি অনুভব করছি।”
কোন আসামির কি সাজা হয়েছে তাও জানান রাষ্ট্রের প্রধ্ন এই আইন কর্মকর্তা।
তিনি বলেন, “এই মৃত্যুদণ্ডের ব্যাপারে যেটা দেখতে পাচ্ছি, মূল হোতা যে চারজন ছিলেন- তারা ছাড়া মেজর আরিফের টিমে যারা ছিলেন- মাইক্রোবাসে..তাদের সকলেরই ফাঁসি হয়েছে। বস্তা তৈরিতে অর্থাৎ বালুর বস্তা তৈরির টিমে ছিলেন..৬ জনের মধ্যে ৩ জনের হয়েছে ফাঁসি।
“একজনের হয়েছে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড এবং দুইজনের সাত বছরের জেল। নূর হোসেনের টিমে যারা ছিল- তাদের সকলেরই যাবজ্জীবন হয়েছে, নূর হোসেন ছাড়া। রানার টিমে যারা ছিল- তাদের সবাইকে অর্থাৎ ৭ জনকে ১০ বছর করে কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। আরেকজন ছিল- আশরাফুজ্জামান, যে কিনা ইঞ্জেকশন যোগাড় করে দিয়েছিল, নিম্ন আদালতে তার ফাঁসির আদেশ হয়েছিল- তাকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।”
এক প্রশ্নে মাহবুবে আলম বলেন, “অপরাধ যে কোনো লোক করতে পারে- সেটা বাহিনী হোক কিংবা উচ্চপদে আসীন কোনো ব্যক্তি হোক। কতিপয় অপরাধীর জন্য কোনো বিশেষ প্রতিষ্ঠানকে দায়ী করা ঠিক হবে না।”
১১ জনের সাজা কমানোর বিরুদ্ধে আপিল করা হবে কি না, পুরো রায় পড়ার পর সে সিদ্ধান্ত নেবেন বলে জানান তিনি।