মঙ্গলবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সঙ্গে তার কার্যালয়ে বিদায়ী সাক্ষাতের সময় একথা বলেন মাসাতো ওয়াতাবে।
পরে প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম এ বিষয়ে সাংবাদিকদের জানান।
বাংলাদেশের বিভিন্ন মেগা প্রকল্পে জাপান প্রায় ৬০০ বিলিয়ন ইয়েন ঋণ দিচ্ছে।
সাক্ষাৎকালে জাপানের বিনিয়োগকারীদের বাংলাদেশের নির্মাণ শিল্পে বিনিয়োগের আগ্রহের কথা প্রকাশ করেছেন মাসাতো ওতানাবে।
জাপানের বিদায়ী রাষ্ট্রদূত গত বছরের ২১ জুলাই গুলশানের হলি আর্টিজান বেকারিতে জঙ্গি হামলার ঘটনাও উল্লেখ করেন, যাতে সাত জাপানি নাগরিক নিহত হয়েছিলেন।
প্রধানমন্ত্রী হোলি আর্টিজানের ঘটনায় দুঃখ প্রকাশ করে শিক্ষক, অভিভাবক, শিক্ষার্থী, মসজিদের ইমাম এবং অন্যান্য পেশাজীবীদের নিয়ে সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে জনসচেতনতা সৃষ্টির কথা বলেন।
এই পদক্ষেপে ইতিবাচক সাড়া পাওয়া যাচ্ছে বলেও প্রধানমন্ত্রী উল্লেখ করেন।
জাপানের সংশ্লিষ্টতা রয়েছে; এরকম প্রকল্পগুলোতে প্রয়োজনীয় নিরাপত্তা নিশ্চিত করার কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী।
জাপানের বিনিয়োগকারীদের জন্য অর্থনৈতিক অঞ্চল প্রতিষ্ঠায় নারায়ণগঞ্জের আড়াই হাজার উপজেলায় এক হাজার একর জমি অধিগ্রহণের কথাও বলেন প্রধানমন্ত্রী।
শেখ হাসিনা বাংলাদেশ ও জাপানের মধ্যে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের কথা উল্লেখ করে মুক্তিযুদ্ধের পর বিভিন্ন অবকাঠামো পুনঃনির্মাণে জাপানের সহযোগিতার কথা স্মারণ করেন।
সাক্ষাৎকালে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের মূখ্য সচিব কামাল আবদুল নাসের চৌধুরী উপস্থিত ছিলেন।