দুই সাব রেজিস্ট্রারের বিরুদ্ধে দুদকের অভিযোগপত্র অনুমোদন

জাল সনদে চাকরি নেওয়ার অভিযোগে পৃথক মামলায় দুই সাব রেজিস্ট্রারের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র অনুমোদন দিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন-দুদক।

নিজস্ব প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 21 August 2017, 03:21 PM
Updated : 21 August 2017, 03:21 PM

সোমবার সাব-রেজিস্ট্রার মিনতি দাস ও পরিতোষ কুমার দাসের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র অনুমোদন দেওয়া হয় বলে দুদকের জনসংযোগ বিভাগের উপ-পরিচালক প্রণব কুমার ভট্টাচার্য জানিয়েছেন।

কুমিল্লার বরুড়া উপজেলার সাব রেজিস্ট্রার মিনতি দাস ২০০৯ সালের ৯ ডিসেম্বর নিবন্ধন পরিদপ্তরে যোগ দেন।

প্রণব কুমার বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, মিনতি ১৯৮৫ সালের ২৭ ফেব্রুয়ারির আগে পাস না করা সত্ত্বেও এইচএসসি এবং বিএ (সম্মান) এর জাল সনদ দাখিল করে চাকরিতে যোগ দেন।

“তিনি পাবলিক সার্ভেন্ট হিসাবে ভুয়া ও জাল সার্টিফিকেটের মাধ্যমে চাকরি নিয়ে ২০১৫ সালের ৩০ জুলাই পর্যন্ত অবৈধভাবে বেতন-ভাতাদি বাবদ সরকারের ১০ লাখ ৯২ হাজার ৭৬৮ টাকা আর্থিক সুবিধা গ্রহণ করে শাস্তিযোগ্য অপরাধ করেছেন।”

ওই অভিযোগে তার বিরুদ্ধে গত বছরের ২১ সেপ্টেম্বর রাজধানীর শাহবাগ থানায় মামলা করে দুদক।

অন্যদিকে পরিতোষ কুমার দাস ১৯৮৫ সালের ২৭ ফেব্রুয়ারির আগে পাস না করা সত্ত্বেও বিএসসি (সম্মান) পাসের জাল সনদ দাখিল করে সাব রেজিস্ট্রার হিসাবে ২০০৯ সালের ৯ সেপ্টেম্বর যোগ দেন। তিনি বর্তমানে রাজধানীর বাড্ডা সার্কেলে সাব রেজিস্ট্রার।

পরিতোষও অবৈধভাবে বেতন-ভাতাদি বাবদ সরকারের ১১ লাখ ১২ হাজার ৬৩৬ টাকা আর্থিক সুবিধা গ্রহণ করে অপরাধ করেছেন বলে প্রণব জানান।

ওই অভিযোগে পরিতোষ কুমার দাসের বিরুদ্ধে গত বছরের ২১ সেপ্টেম্বর শাহবাগ থানায় দুদক মামলা করে।

দুই পুলিশসহ তিনজনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র

খালুকে বাবা পরিচয় দিয়ে মুক্তিযোদ্ধা সন্তানের ভুয়া সনদ দেখিয়ে পুলিশের কনস্টেবল পদে চাকরি নেওয়ার অভিযোগে এক মামলায় তিনজনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র অনুমোদন করা হয় বলে প্রণব জানিয়েছেন।

আসামিরা হলেন- সাময়িক বরখাস্ত কনস্টেবল মো. আব্দুল মজিদ, তার খালু মো. ছবের আলী ও সিরাগঞ্জের শাহজাদপুর থানার এসআই (নিরস্ত্র) মো. নুরে আলম।

মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়, আসামিরা পরস্পর যোগসাজশে আব্দুল মজিদকে কনস্টেবল পদে যোগ দেওয়ার সময় তার বাবার নামের পরিবর্তে মুক্তিযোদ্ধা কোটায় তার খালু মুক্তিযোদ্ধা মো. ছবের আলীর সনদ ব্যবহার করে।

মজিদের খালু হওয়া সত্বেও মো. ছবের আলীকে বাবা পরিচয় দিয়ে পুলিশ ভেরিফিকেশন প্রতিবেদন দাখিল করে চাকরিতে যোগদানের সুযোগ করে দেন এসআই নুরে আলম।

ওই অভিযোগে তাদের বিরুদ্ধে সিরাজগঞ্জ সদর থানায় গত বছরের ১৫ এপ্রিল মামলা করে দুদক।