ইন্টারন্যাশনাল সোলার অ্যালায়েন্সের সদস্য হচ্ছে বাংলাদেশ

সৌরশক্তি বাড়াতে বিদ্যমান অন্তরায় দূর করাসহ এ সংক্রান্ত সমন্বিত বিভিন্ন উদ্যোগে যুক্ত হতে ১২০টির বেশি দেশের জোট ইন্টারন্যাশনার সোলার অ্যালায়েন্সের (আইএসএ) সদস্য হচ্ছে বাংলাদেশ।

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 21 August 2017, 11:48 AM
Updated : 21 August 2017, 11:48 AM

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে সোমবার প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে মন্ত্রিসভার নিয়মিত বৈঠকে ‘ফ্রেমওয়ার্ক এগ্রিমেন্ট অন দ্য এস্টাবলিস্টমেন্ট অব দ্য ইন্টারন্যাশনাল সোলার অ্যায়ায়েন্স’ অনুসমর্থনের প্রস্তাব অনুমোদন দেওয়া হয়।

সভা শেষে সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সচিব (সমন্বয় ও সংস্কার) এন এম জিয়াউল আলম সংবাদ ব্রিফিংয়ে বলেন, কর্কট ও মকরক্রান্তি রেখার মধ্যবর্তী ১২১টি দেশ আছে, এ দেশগুলো সোলার শক্তিতে সমৃদ্ধ।

“এ বিষয়টি নিয়ে প্যারিসে অনুষ্ঠিত ইউনাইটেড নেশন্স ফেমওয়ার্ক কনভেনশন অন ক্লাইমেট চেঞ্জ সম্মেলনে বিস্তারিত আলোচনা হয়। সেখানে ভারতের প্রধানমন্ত্রী ও ফ্রান্সের রাষ্ট্রপতি সদস্য রাষ্ট্রগুলোর মধ্যে একটি ইন্টারন্যাশনাল সোলার অ্যালায়েন্স প্রতিষ্ঠার প্রস্তাব করেন।”

জিয়াউল বলেন, “পরবর্তীতে কপ-২২ সম্মেলনের সাইড লাইনে বাংলাদেশের পক্ষে ইন্টারন্যাশনাল সোলার অ্যায়ায়েন্স ফ্রেমওয়ার্ক এগ্রিমেন্টে খসড়ায় স্বাক্ষর করা হয়। আজকে এটি মন্ত্রিসভার অনুমোদনের জন্য উপস্থাপিত হয়।”

সচিব বলেন, “এই ফ্রেমওয়ার্ক এগ্রিমেন্টের বৈশিষ্ট্য হল সদস্য রাষ্ট্রগুলো সৌরশক্তি বৃদ্ধির ক্ষেত্রে বিদ্যমান অন্তরায়গুলো দূর করার ব্যবস্থা গ্রহণ করবে এবং সৌরবিদ্যুৎ সংক্রান্ত প্রকল্পের অর্থায়ন, প্রযুক্তি উদ্ভাবন, গবেষণা, উন্নয়ন ও সক্ষমতা বৃদ্ধির ক্ষেত্রে সমন্বিত উদ্যোগ গ্রহণ করবে।”

এছাড়া এই ফ্রেমওয়ার্ক এগ্রিমেন্টের আওতায় সদস্য রাষ্ট্রগুলোর সঙ্গে আলোচনার মাধ্যমে ইন্টারন্যাশনাল সোলার অ্যালায়েন্সের বিভিন্ন কর্মসূচি নেওয়া হবে বলে জানান জিয়াউল।

তিনি বলেন, “এর সাংগঠনিক কাঠামোতে একটি এসেম্বলি ও একটি সেক্রেটারিয়েট থাকবে। এসেম্বলি সদস্য হবে সদস্য রাষ্ট্রগুলো। এসেম্বলিতে ভোটের মাধ্যমে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হবে। সিদ্ধান্তগুলো সেক্রেটারিয়েটের মাধ্যমে বাস্তবায়ন করা হবে।”

অ্যালায়েন্সের সদস্য দেশগুলোকে কোনো চাঁদা দিতে হবে না জানিয়ে সচিব বলেন, “তবে সেখানে বিভিন্ন দেশ অনুদান দিতে পারবে। ভারত অ্যালায়েন্সের ডিপোজিটর হিসেবে কাজ করবে। কোনো দেশ তিন মাস আগে নোটিস দিয়ে সদস্যপদ প্রত্যাহার করতে পারবে।”