রোববার বিকালে জাতীয় প্রেস ক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে এই দাবি করেন যুদ্ধারাধীদের সর্বোচ্চ শাস্তির দাবিতে গড়ে ওঠা গণজাগরণ মঞ্চের মুখপাত্র।
সংবাদ সম্মেলনে ইমরানের সঙ্গে অধ্যাপক অজয় রায়, খুশি কবির, ছাত্র ইউনিয়নের সভাপতি জিলানী শুভ, সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্টের সভাপতি ইমরান হাবিব রুমনও ছিলেন।
দুই দিনের হামলায় গণজাগরণ মঞ্চের ১৩ জন কর্মী আহত হয়েছেন বলে জানান ইমরান। এই ঘটনায় শাহবাগ থানায় মামলা হলেও কেউ গ্রেপ্তার না হওয়ার অসন্তোষ প্রকাশ করেন তিনি।
শাহবাগে মিছিলে প্রধানমন্ত্রীকে নিয়ে স্লোগানে মানহানির মামলায় আসামি হওয়ার পর গত ১৬ জুলাই ঢাকার আদালত প্রাঙ্গণে ডিম নিক্ষেপের শিকার হন ইমরান। ওই ঘটনায় ছাত্রলীগের কর্মীরা জড়িত ছিল বলে সংগঠনটির জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের এক কর্মীর কথায় উঠে এসেছে।
এরপর গত ১৭ অগাস্ট এবং ১৮ অগাস্ট শাহবাগে দুই দফা হামলার শিকার হন গণজাগরণ মঞ্চের মুখপাত্র; তবে হামলাকারী কেউ এখনও চিহ্নিত হয়নি।
সেই হামলার প্রতিবাদ জানানোর পর ১৮ অগাস্ট বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনে ফের হামলার শিকার হন ইমরান।
সংবাদ সম্মেলনে ইমরান বলেন, “পুলিশের নাকের ডগায় উপর্যুপরি এই হামলার পরও সরকার বা প্রশাসনের তরফ থেকে কোনো পদক্ষেপ না নেওয়া নিশ্চিতভাবে প্রমাণ করে এই ধারাবাহিক হামলার পেছনে সরকারের ইন্ধন ও যোগসাজশ রয়েছে।”
এই ধারণার পেছনে আদালত প্রাঙ্গণে ছাত্রলীগের নাম নিয়ে হামলার কথাও বলেন তিনি।
কী কারণে এই হামলা- এর ব্যাখ্যায় ইমরান বলেন, জনদুর্ভোগ থেকে মানুষের দৃষ্টি অন্যদিকে সরিয়ে নিয়ে ইস্যুগুলো ‘ধামাচাপা’ দিতে ও গণজাগরণ মঞ্চের আন্দোলনকে ‘বাধাগ্রস্ত’ করতেই এ হামলা।
সরকারকে হুঁশিয়ার করে তিনি বলেন, “গণজাগরণ মঞ্চের কর্মীদের উপর অব্যাহত এই হামলা-মামলার প্রেক্ষিতে কোনো অনভিপ্রেত পরিস্থিতির সৃষ্টি হলে তার সম্পূর্ণ দায়ভার সরকার ও প্রশাসনকেই নিতে হবে।”
গণজারগণ মঞ্চ সব বাধা প্রতিরোধ করে অতীতের মতো ভবিষতেও বিভিন্ন আন্দোলনে থাকবে বলে অঙ্গীকার করেন সংগঠনটির মুখপাত্র।