ঘুমিয়ে স্বপ্ন দেখলে চলবে না: রাষ্ট্রপতি

বঙ্গবন্ধু ও মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস জেনে তা অন্যদেরও জানানোর উদ্যোগ নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ।

নিজস্ব প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 20 August 2017, 12:55 PM
Updated : 20 August 2017, 12:55 PM

রোববার জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষ্যে এক অনুষ্ঠানে রাষ্ট্রপতি তরুণদের উদ্দেশে বলেন, “তোমরা তরুণরাই দেশের আগামী দিনের ভবিষ্যৎ। বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর স্বাধীনতাবিরোধী চক্র এ দেশে বার বার মহান মুক্তিযুদ্ধ ও মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস বিকৃতির মাধ্যমে নতুন প্রজন্মকে বিভ্রান্ত করার অপচেষ্টা চালিয়েছে।

“প্রকৃত ইতিহাসকে বদলে দেওয়ার দুঃসাহস দেখিয়েছে। তাই তোমাদেরকে বঙ্গবন্ধু ও মু্ক্তিযুদ্ধের ইতিহাস জানতে হবে। অন্যদেরকেও প্রকৃত ইতিহাস জানাতে হবে।”

রাজধানীর ইডেন মহিলা কলেজের ওই অনুষ্ঠানে আবদুল হামিদ আরও বলেন, “স্বপ্নের মাঝেই মানুষ বেঁচে থাকে। তাই তোমাদেরকেও স্বপ্ন দেখতে হবে। তবে ঘুমিয়ে স্বপ্ন দেখলে চলবে না। স্বপ্নের মাঝে নিজের, পরিবারের ও দেশের ভবিষ্যৎ রচনা করতে হবে এবং সেই স্বপ্ন বাস্তবায়নে নিজেদের প্রস্তুত করতে হবে। সবসময় মনে সাহস রাখবে। দেখবে তাহলেই সব বাধা অতিক্রম করে নিজ গন্তব্যে পৌঁছে যাবে।”

তরুণদের একে অপরের প্রতিদ্বন্দ্বী না হওয়ার আহ্বান জানিয়ে রাষ্ট্রপতি বলেন, “নিজেদের মধ্যে সবসময় খোলামেলা আলোচনা করবে এবং পরস্পরের সাথে অভিজ্ঞতা বিনিময় করবে। একে অপরের প্রতিদ্বন্দ্বী না হয়ে সহযোগী হওয়ার চেষ্টা করবে। মনে রাখবে কেউ জ্ঞানী-গুণী বা নেতা হয়ে জন্মগ্রহণ করে না। এসব অর্জন করতে হয়। আর এসব অর্জনে পূর্বসূরীদের দেখানো পথেই তোমাদেরকে বিচরণ করতে হবে।”

বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন বাস্তবায়নে নতুন প্রজন্মকে ‘জাতির পিতার আদর্শে উজ্জীবিত’ হওয়ার কথা স্মরণ করিয়ে দেন আবদুল হামিদ।

“বঙ্গবন্ধু রাজনৈতিক স্বাধীনতার পাশাপাশি জনগণের অর্থনৈতিক মুক্তি অর্জনের লক্ষ্যে সারাজীবন সংগ্রাম করে গেছেন। ক্ষুধা ও দারিদ্র্যমুক্ত ‘সোনার বাংলা’ প্রতিষ্ঠাই ছিল তার স্বপ্ন। তাই তোমাদের দায়িত্ব হবে জ্ঞানগরিমায় সমৃদ্ধ হয়ে বঙ্গবন্ধুর অসম্পূর্ণ কাজকে সম্পূর্ণ করে বাংলাদেশকে একটি সুখী ও সমৃদ্ধ দেশে পরিণত করা। তাহলেই আমরা চিরঞ্জীব এই মহান নেতার প্রতি যথাযথ সম্মান প্রদর্শন করতে পারবো।”

বাংলাদেশকে বিশ্বের উন্নত ও সমৃদ্ধশালী দেশের কাতারে নিয়ে যেতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে সরকারের পরিকল্পনার কথা তুলে ধরেন রাষ্ট্রপতি।

রাষ্ট্রপতি বলেন, “এসব পরিকল্পনা বাস্তবায়নেও তোমাদেরকে সক্রিয় সহযোগিতা করতে হবে। আমরা এখন একবিংশ শতাব্দির বাসিন্দা। জ্ঞান-বিজ্ঞান ও তথ্য-প্রযুক্তির নব নব উদ্ভাবনের ফলে বিশ্ব প্রতিনিয়ত বদলে যাচ্ছে এবং চ্যালেঞ্জের মাত্রাও বেড়ে যাচ্ছে। এসব চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় তোমাদেরকে বিশ্বমানে উন্নীত হতে হবে। অর্জিত জ্ঞানকে দেশের কাজে লাগাতে হবে।”

ইডেন মহিলা কলেজের অধ্যক্ষ শামসুন নাহারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন শিক্ষামন্ত্রী নূরুল ইসলাম নাহিদ, ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র সাঈদ খোকন, মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের সচিব মো. সোহরাব হোসাইন, মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক এসএম ওয়াহিদুজ্জামান প্রমুখ।