তবে এসব নদীতে পানি এখনও বিপদসীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হওয়ায় পরিস্থিতির পুরোপুরি উন্নতির জন্য আরও কয়েকদিন লাগবে বলে বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্র জানিয়েছে।
এদিকে পদ্মায় পানি বাড়তে থাকায় দক্ষিণ-মধ্যাঞ্চলের কিছু জায়গায় বন্যা পরিস্থিতির অবনতির খবর পাওয়া গেছে।
বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্রের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. সাজ্জাদ হোসেন শনিবার বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “উত্তরাঞ্চলে খুব দ্রুতই পানি কমছে। আশা করছি, আগামী তিন থেকে চার দিনে পরিস্থিতির অনেক উন্নতি হবে।
“আর পুরোপুরি উন্নতির জন্য কিছুটা সময় লাগবে। কেননা পানি বিপদসীমার উপরে রয়েছে।”
উত্তর অঞ্চলের কুড়িগ্রাম, জামালপুর, গাইবান্ধা, বগুড়া ও সিরাজগঞ্জ জেলায় পরিস্থিতির উন্নতি হয়েছে বলে জানান তিনি।
বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্রের তথ্য মতে, পদ্মা নদীর পানি উজানের (গোয়ালন্দ) পয়েন্টে স্থিতিশীল এবং ভাটির (মুন্সীগঞ্জের-ভাগ্যকুল এবং শরীয়তপুরের সুরেশ্বর) পয়েন্টে বাড়ছে।
এর ফলে মানিকগঞ্জ, ফরিদপুর, রাজবাড়ী, মুন্সীগঞ্জ, শরীয়তপুরের নিম্নাঞ্চলে বন্যা পরিস্থিতি কিছু জায়গায় স্থিতিশীল এবং কিছু জায়গায় অবনতিশীল থাকবে বলে পূর্বাভাসে বলা হয়েছে।
সাজ্জাদ হোসেন বলেন, “পদ্মা নদীর পানি স্থিতিশীল রয়েছে। ৪৮ ঘন্টার পর থেকে পদ্মার আশপাশের পানি কমতে শুরু করবে।”
তিনি জানান, গঙ্গা অববাহিকার পানি বৃদ্ধি পেলেও তা বিপদসীমার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। মধ্যাঞ্চলে ঢাকার চতুর্দিকের ৫টি নদীর পানিও বিপদসীমার ৩ সেন্টিমিটার থেকে ১২০ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।