একা ঘরে তৃতীয় শ্রেণির ছাত্রীর ঝুলন্ত লাশ

ঢাকার খিলগাঁওয়ে বাসায় একা থাকা তৃতীয় শ্রেণির এক ছাত্রীকে ফ্যানের সঙ্গে ঝুলন্ত অবস্থায় পাওয়া গেছে।

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 19 August 2017, 01:19 PM
Updated : 19 August 2017, 02:00 PM

মাহিন আক্তার নামে নয় বছর বয়সী শিশুটির মৃত্যুর কারণ আত্মহত্যা, না অন্য কিছু, তা তদন্ত করছে পুলিশ।

সিপাহীবাগ ক্লাবের মোড়ে এক ভবনের চতুর্থ তলার বাসা থেকে শনিবার বিকালে ঝুলন্ত অবস্থায় মাহিনকে উদ্ধার করা হয় বলে পুলিশ জানায়।

মাহিনের বাবার নাম আব্দুল কাউয়ুম। স্ত্রী এবং দুই মেয়েকে নিয়ে ওই বাসায় থাকতেন তিনি।তার বড় মেয়ে খিলগাঁও মডেল স্কুলে নবম শ্রেণিতে পড়েন, মাহিনও একই বিদ্যালয়ের ছাত্রী ছিল।

কাউয়ুম বলেন, সকালে তিনি দুই মেয়েকে নিয়ে স্কুলে রেখে আসেন। ছোট মেয়ের আগে ছুটি হওয়ায় তিনি দুপুরে তাকে বাসায় স্ত্রী ময়নার কাছে রেখে কাজে বেরিয়েছিলেন।

“দুপুরের দিকে বাসায় মাহিনকে একা রেখে পাশে নিজের মায়ের বাসায় গিয়েছিল আমার স্ত্রী।”

ময়না তার স্বামীকে বলেছেন, ১০/১৫ মিনিট পর তিনি বাসায় ফিরে ভেতর থেকে দরজা বন্ধ পান। আনেক ডাকাডাকির পর না খোলায় সানশেড দিয়ে দেখেন, শোবার ঘরে সিলিং ফ্যানে মাহিন ঝুলছে।

দরজা ভেঙে মাহিনকে বেলা ৩টায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসক জানায়, শিশুটি মারা গেছে।

কাইয়ুম বলেন, স্কুল থেকে ফেরার সময় হাসিখুশি ছিল মাহিন।

“যে মেয়ে হাসিখুশি মনে আমার সাথে কথা বললো কিছুক্ষণ পরই সে মেয়ে গলায় ফাঁস দিল, এটা বিশ্বাসই হচ্ছে না।”

খিলগাঁও থানার ওসি কাজী মাইনুল ইসলাম বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “আত্মহত্যা বিষয়ে এই বয়সে যার কোনো ধারণাই থাকার কথা না, সে কেন আত্মহত্যা করল, তা গুরুত্বের সাথে তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।”

এদিকে রাজধানীর ধানমণ্ডিতে নির্মাণাধীন ভবন থেকে পড়ে নাজমুল ইসলাম নামে (১৫) এক রড মিস্ত্রির সহকারী মারা গেছেন।

সাততলা ওই ভবনের ছয়তলায় রডের কাজ করছিলেন নাজমুল। দুপুর আড়াইটার দিকে তিনি হঠাৎ পড়ে যায়।

নাজমুলকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন বলে ঢামেক পুলিশ ফাঁড়ির উপ পরিদর্শক বাচ্চু মিয়া জানিয়েছেন।