বৃহস্পতিবার সংসদ ভবনে অনুষ্ঠিত সংসদীয় কমিটির বৈঠকে এ তথ্য জানিয়েছে মন্ত্রণালয়। বৈঠকে চলমান বন্যা পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা হয়।
সংসদীয় কমিটি বন্যার পানি নেমে যাওয়ার পর কোন বাঁধ কী অবস্থায় আছে, কোন কোন বাঁধের ওপর স্থায়ী বসতি তৈরি হয়েছে তার একটি পূর্ণাঙ্গ প্রতিবেদন পরবর্তী বৈঠকে জমা দিতে বলেছে মন্ত্রণালয়কে।
জুলাইয়ের শেষ থেকে শুরু হওয়া চলতি মৌসুমের দ্বিতীয় দফার বন্যায় এ পর্যন্ত ২২ জেলার ৩৩ লাখ ২৭ হাজার মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তরের তথ্য।
গত এপ্রিলে দেশের সিলেট অঞ্চলে আগাম বন্যায় বাঁধ ভেঙে হাওর এলাকার ছয় জেলা প্লাবিত হয়।
এদিকে দেশের উপকূলীয় এলাকার বাঁধ সংস্কার কার্যক্রম নিয়েও প্রশ্ন তুলেছে সংসদীয় কমিটি।
কমিটি বলছে, প্রতিবছর নভেম্বর মাসের আগেই বাঁধ সংস্কারের কাজ শেষ হতো; এবার সেভাবে মনিটরিং লক্ষ্য করা যায়নি।
কমিটির সভাপতি সাবেক পানি সম্পদ মন্ত্রী রমেশ চন্দ্র সেন সাংবাদিকদের বলেন, “আগে নভেম্বর মাস আসার আগেই ঝুঁকিপূর্ণ এলাকার বাঁধগুলো পরীক্ষা করা হতো। এমন কি রোলার দিয়ে বাঁধ শক্ত করেও দিতাম, যাতে বন্যার পানি সহজেই প্রবেশ করতে না পারে। কিন্তু এবার তা দেখিনি।”
কমিটি বাংলাদেশের প্রতিটি নদীতে পানির প্রবাহ ঠিক রাখতে ড্রেজিং মাস্টারপ্ল্যানের আওতায় একটি গাইড লাইন করারও সুপারিশ করেছে।
রমেশ চন্দ্র সেনের সভাপতিত্বে কমিটির সদস্য পানি সম্পদ আনিসুল ইসলাম মাহমুদ, প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ নজরুল ইসলাম, মোস্তাফিজুর রহমান চৌধুরী এবং অনুপম শাহজাহান জয় বৈঠকে অংশ নেন।