বুধবার বিকালে শেওড়াপাড়ার একটি বাসার গ্যারেজে লুকানো অবস্থায় মার্সিডিজ ‘এস ক্লাস’ ব্যান্ডের এই গাড়িটি আটক করা হয় বলে শুল্ক গোয়েন্দা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মইনুল হক বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানিয়েছেন।
তিনি বলেন, “গাড়িটির চেসিস নম্বর পরীক্ষা করে দেখা গেছে এটি ২০১০ সালে চট্টগ্রাম বন্দর দিয়ে কারনেট ডি প্যাসেজ সুবিধায় আনা হয়েছিল।”
আন্তর্জাতিক একটি সনদ অনুযায়ী যে সুবিধায় পর্যটকরা একটি দেশ থেকে অন্য দেশে শুল্ক না দিয়েই গাড়ি নিয়ে ঢুকতে পারেন, তাকেই ‘কার্নেট ডি প্যাসেজ’ বলা হয়।
তবে একটি নির্দিষ্ট সময়, অর্থাৎ দুই বা তিন মাসের জন্য এই সুবিধা পান পর্যটকরা। এতে তাদের সংশ্লিষ্ট দেশের অটোমোবাইল অ্যাসোসিয়েশনের সদস্য হতে হয়। নির্দিষ্ট সময় পর গাড়িটি ফেরত না গেলে সংশ্লিষ্ট দেশের নিয়ম অনুযায়ী এর উপর শুল্ক আরোপ করা হয়।
যুক্তরাজ্য প্রবাসী জনৈক হোসেইন সোলায়মান তিন মাসের মধ্যে পুনঃরপ্তানির শর্তে এই গাড়িটি শুল্কমুক্ত সুবিধায় বন্দর থেকে খালাস করেছিলেন বলে মইনুল খান জানান।
“গাড়িটি দীর্ঘদিন যাবত এই গ্যারেজে ছিল। প্রাথমিক তথ্য অনুযায়ী, শুল্ক গোয়েন্দা কর্তৃক দুই বছর যাবত চলমান অবৈধ বিলাসবহুল গাড়ি আটকের অভিযানের নজরদারি এড়াতে ব্যবহারকারী গাড়িটি এই গ্যারেজে লুকিয়ে রাখে।”