গত ২০ জুলাই বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমে ‘পর্নোগ্রাফি ও আইসিটি মামলায় যুগান্তরের সাংবাদিক কারাগারে’ শীর্ষক প্রতিবেদনটি প্রকাশিত হয়েছিল।
সাবেক কাস্টমস কমিশনার (ভ্যাট) এম হাফিজুর রহমানের দায়ের করা মামলায় যুগান্তরের এই সাংবাদিককে ওই দিন কারাগারে পাঠিয়েছিলেন ঢাকা মহানগর দায়রা জজ কামরুল হোসেন মোল্লা।
ওই প্রতিবেদনে মামলাটিতে রাষ্ট্রপক্ষের কৌঁসুলি অতিরিক্ত পিপি তাপস কুমার পালকে উদ্ধৃত করে যে বক্তব্য ছাপা হয়েছিল, তা ঠিক নয় বলে দাবি করেন হিলাল উদ্দিন।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছিল, “আসামি হেলাল তথ্য গোপন করে হাই কোর্ট থেকে আগাম জামিন নিয়েছিলেন। কিন্তু পরে হাই কোর্ট জামিন বাতিল করে তাকে বিচারিক আদালতে আত্মসমর্পণের নির্দেশ দেন। হাই কোর্টে তিনি প্রতারণা করে জামিন নেওয়ায় বিচারক ক্ষুব্ধ ছিলেন। এ কারণে বিচারক তাকে কারাগারে পাঠিয়েছেন।”
হেলাল বলেছেন, “রাষ্ট্রপক্ষের অতিরিক্ত কৌঁসুলি তাপস পাল আমাকে লিখিতভাবে জানিয়েছেন, তিনি সেদিন আদালতে এই ধরনের কোনো বক্তব্য দেননি, বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকেও এমন কোনো বক্তব্য দেননি।”
তার এই বক্তব্যের বিষয়ে বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমের আদালত প্রতিবেদক প্রকাশ বিশ্বাস জানান, সেদিন মোবাইল ফোনে তার সঙ্গে তাপস পালের কথা হয়েছিল এবং তিনি ওই বক্তব্য দিয়েছিলেন। আরও সাংবাদিককেও একই বক্তব্য দিয়েছিলেন তিনি, যা অন্য সংবাদপত্রেও প্রকাশিত হয়েছিল।
এই প্রতিবেদন প্রকাশের ক্ষেত্রে ‘সাংবাদিকতার স্বাভাবিক নীতিমালা অনুযায়ী’ যুগান্তর সম্পাদকের মন্তব্য নেওয়া যেত বলেও মন্তব্য করেছেন হেলাল উদ্দিন।
এই বিষয়ে প্রকাশ বিশ্বাস বলেন, যুগান্তরের সঙ্গে মামলার কোনো সংশ্লিষ্টতা ছিল না, মামলার বাদী হাফিজুর রহমান ব্যক্তি হেলাল উদ্দিনের বিরুদ্ধে মামলাটি করেছিলেন।
তবে হেলাল দাবি করেছেন, পেশাগত কারণেই এই হামলার মুখে পড়তে হয়েছে তাকে।