বুধবার সকাল সোয়া ১০ টায় আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনে শুরু হওয়া এ সংলাপে সভাপতিত্ব করছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার কে এম নূরুল হুদা। চার নির্বাচন কমিশনারও আলোচনায় উপস্থিত রয়েছেন।
গণমাধ্যমের যে ৭১ জন প্রতিনিধিকে সংলাপের আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে, তাদের মধ্যে প্রিন্ট মিডিয়ার সম্পাদক ও জ্যেষ্ঠ সাংবাদিকসহ ৩৭ জনের সঙ্গে বুধবার এবং অনলাইন, টেলিভিশন ও রেডিওর ৩৪ জনের সঙ্গে বৃহস্পতিবার মত বিনিময় করার সূচি জানিয়েছিল ইসি।
বুধবারের সংলাপে ইসি যাদের আমন্ত্রণ জানিয়েছিল, তাদের মধ্যে তালিকার ক্রমানুসারে নিউএজ সম্পাদক নূরুল কবির, যুগান্তরের ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক সাইফুল আলম, ইত্তেফাকের ব্যবস্থাপনা সম্পাদক আশিস সৈকত, কালের কণ্ঠ নির্বাহী সম্পাদক মোস্তফা কামাল, মানবজমিন প্রধান সম্পাদক মতিউর রহমান চৌধুরী, ভোরের কাগজ সম্পাদক শ্যামল দত্ত, আমাদের অর্থনীতি সম্পাদক নাঈমুল ইসলাম খান, বাংলাদেশ প্রতিদিনের সম্পাদক নঈম নিজাম, জাতীয় প্রেস ক্লাবের সভাপতি মুহাম্মদ শফিকুর রহমান, সাধারণ সম্পাদক ফরিদা ইয়াসমিন, বিএফইউজের একাংশের সভাপতি মনজুরুল আহসান বুলবুল, মহাসচিব ওমর ফারুক, বিএফইউজের অপর অংশের মহাসচিব মোহাম্মদ আবদুল্লাহ, সাংবাদিক মাহফুজউল্লাহ, আনিসুল হক, আমানুল্লাহ কবীর, সাপ্তাহিক সম্পাদক গোলাম মর্তুজা, কলাম লেখক বিভুরঞ্জন সরকার, মাহবুব কামাল, সোহরাব হাসান, যায়যায়দিনের ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক কাজী রুকুনউদ্দীন আহমেদ, সাংবাদিক কাজী সিরাজ ও সাংবাদিক আনিস আলমগীর উপস্থিত রয়েছেন।
বৈঠকের কার্যপত্রে দেখা যায়, কর্মপরিকল্পনার সাতটি বিষয় ছাড়াও প্রাসঙ্গিক অন্য বিষয়েও মতামত শুনতে চায় ইসি।
আলোচ্য বিষয়
>> বিদ্যমান ইংরেজি আইন কাঠামো বিশেষ করে ‘দ্য রিপ্রেজেন্টেশন অব দ্য পিপল অর্ডার, ১৯৭২ এবং দ্য ডিলিমিটেশন অব কনস্টিটিউয়েন্সিস অর্ডিন্যান্স, ১৯৭৬’ যুগোপযোগী করে বাংলা ভাষায় প্রণয়ন।
>> বিগত নির্বাচনসমূহের অভিজ্ঞতার ভিত্তিতে অবৈধ অর্থ এবং পেশি শক্তির ব্যবহার রোধে আইনি কাঠামো সংস্কার।
>> জনসংখ্যার পাশাপাশি ভোটার সংখ্যা, সংসদীয় এলাকার আয়তন, প্রশাসনিক অখণ্ডতা এবং যোগাযোগ ব্যবস্থাকে গুরুত্ব দিয়ে ডিজিটাল টেকনোলজি ব্যবহারের মাধ্যমে সংসদীয় এলাকার সীমানা নির্ধারণ।
>> নির্বাচন প্রক্রিয়া যুগোপযোগী ও সহজ করতে আইনি কাঠামো ও প্রক্রিয়ার সংস্কার; প্রবাসী ভোটারদের ভোটদান নিশ্চিত করার বিষয়ে একটি আইনি কাঠামো তৈরি।
>> কর্ম পরিকল্পনার বিভিন্ন কাঠামোকে যুগোপযোগী করা
>> নির্ভুল ভোটার তালিকা প্রণয়ন ও বিতরণ নিশ্চিত করা
>> ভোটকেন্দ্র স্থাপন সংক্রান্ত কার্যক্রম যুগোপযোগী করা
>> নতুন রাজনৈতিক দল নিবন্ধন ও নিবন্ধত রাজনৈতিক দলের নিরীক্ষা
>> সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য সক্ষমতা বৃদ্ধির কর্মপরিকল্পনার বাইরে নতুন প্রস্তাব
২০১৯ সালের ২৮ জানুয়ারির আগের ৯০ দিনের মধ্যে একাদশ সংসদ নির্বাচন সুষ্ঠুভাবে আয়োজন করতে গত ১৬ জুলাই দেড় বছরের কর্মপরিকল্পনা প্রকাশ করে কে এম নূরুল হুদা নেতৃত্বাধীন নির্বাচন কমিশন। এর অংশ হিসেবে রাজনৈতিক দল, নির্বাচন পরিচালনা বিশেষজ্ঞ, গণমাধ্যম প্রতিনিধি, পর্যবেক্ষক ও নারী সংগঠনের প্রতিনিধিদের সঙ্গে ইসির এই মতবিনিময়।
এ নিয়ে ৩১ জুলাই সুশীল সমাজের প্রতিনিধিদের মতামত নেওয়া হয়েছে। ধারবাহিক সংলাপে সব অংশীজনের বক্তব্য নিয়ে প্রতিবেদন প্রকাশ করে সরকারের কাছেও পাঠানো হবে বলে জানিয়েছেন সিইসি।