দুর্নীতি দমনে দুদকে বঙ্গবন্ধুর আদর্শের অনুরণন ঘটানোর কথাও বলেছেন তিনি।
মঙ্গলবার রাজধানীর সেগুনবাগিচায় কমিশনের প্রধান কার্যালয়ে জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে এক আলোচনা সভায় দুদক চেয়ারম্যান এসব কথা বলেন।
সভাপতির বক্তব্যে ইকবাল মাহমুদ বলেন, “দুর্নীতি নিয়ে বঙ্গবন্ধু বলেছেন দুর্নীতির মাত্রা কমাতে হবে, দুর্নীতি বন্ধ করতে হবে। তিনি বলেছেন কৃষক, শ্রমিক দুর্নীতি করে না, দুর্নীতি করে শিক্ষিত লোকেরা। বিশেষ করে সরকারি কর্মকর্তাদের সৎ থাকার কথা বলেছেন বঙ্গবন্ধু।
“সরকারি কর্মকর্তার যদি সৎ হন, বিশেষ করে মন্ত্রণালয়ের সচিব যদি দুর্নীতি না করেন বা দুর্নীতিকে প্রশয় না দেন, তা হলে ওই মন্ত্রণালয়ে দুর্নীতি হতে পারে না।”
১৫ অগাস্ট শুধু শোকের দিন নয়, দিনটি বাঙালি জাতির জন্য লজ্জার উল্লেখ করে তিনি বলেন, “মহীরূহ ও মহান ব্যক্তিত্ব বঙ্গবন্ধু দেশের স্বাধীনতা তথা মানুষের মুক্তির জন্য সারা জীবন সংগ্রাম করে গেছেন, এমনকি এই বাঙালি জাতির জন্য নিজের জীবনকে উৎসর্গ করেছেন। তাকে কতিপয় বাঙালিই হত্যা করেছে। এই হত্যাকাণ্ড বাঙালি জাতির জন্য কলঙ্কের।”
‘ষড়যন্ত্রের অর্থের যোগানদাতা’ প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে কমিশনের অবস্থানের কথা তুলে তাদের আইনের আওতায় নিয়ে আসার কথা বলেন তিনি।
“অনেক গবেষক বলছেন কোনা কোনো আর্থিক প্রতিষ্ঠান এবং কোনো কোনো দাতব্য সংস্থাই ষড়যন্ত্রের অর্থের যোগানদাতা। আর তাদেরেকে আইনের আওতায় আনার দায়িত্ব যেহেতু দুদকের, তাই এই দুদকের কর্মকতাদের শোককে শক্তিতে পরিণত করে এই সকল দুর্নীতিবাজদের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াতে হবে।”
আলোচনা সভায় অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন দুদকের দুই কমিশনার ড. নাসিরউদ্দীন আহমেদ, এএফএম আমিনুল ইসলাম, মহাপরিচালক ড. মো. শামসুল আরেফিন, মো. আসাদুজ্জামান, পরিচালক মো. মঞ্জুর আহমেদ, মো. জায়েদ হোসেন খান, উপপরিচালক মো. আবুল কাসেম, শেখ মো. ফানাফিল্যা, সেলিন আক্তার প্রমুখ।