ঢাকায় ‘বঙ্গবন্ধু বইমেলা’ শুরু

থরে থরে সাজানো অসংখ্য বই; সবই বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে লেখা। এর মধ্যে যেমন রয়েছে বঙ্গবন্ধুর নিজের লেখা বই, তেমনই রয়েছে তার বর্ণাঢ্য জীবন ও কর্মকাণ্ড নিয়ে লেখা নানা বই।

নিজস্ব প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 14 August 2017, 03:41 PM
Updated : 14 August 2017, 03:41 PM

জাতির জনককে নিয়ে লেখা দেশ-বিদেশের এমন সব বই নিয়ে রাজধানীর শুক্রাবাদের বুকশপ পূর্ব-পশ্চিমের আয়োজনে শুরু হয়েছে ‘বঙ্গবন্ধু বইমেলা’।

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের শাহাদাত বার্ষিকী উপলক্ষে এ মেলার আয়োজন করা হয়েছে।

সোমবার বিকালে বঙ্গবন্ধু বইমেলার উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব ড. কামাল আবদুল নাসের চৌধুরী।

চিত্রশিল্পী হাশেম খানের সভাপতিত্বে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য বিশ্বজিৎ ঘোষ, পূর্ব-পশ্চিম বুকশপের পরিচালনা পর্ষদের চেয়ারম্যান ও আগামী প্রকাশনীর স্বত্বাধিকারী ওসমান গণি।

অনুষ্ঠানে বঙ্গবন্ধুকে নিবেদিত কবিতা পাঠ করেন ড. মুহম্মদ সামাদ, তারিক সুজাত।

অনুষ্ঠানের শুরুতে ১৫ অগাস্টের নির্মম হত্যাযজ্ঞে শহীদদের স্মরণে দাঁড়িয়ে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়।

ড. কামাল আবদুল নাসের চৌধুরী বলেন, “মুক্তিযুদ্ধের সময় বিখ্যাত টাইম ম্যাগাজিন বঙ্গবন্ধুকে রাজনীতির কবি হিসেবে আখ্যা দেয়। তিনি আসলেই রাজনীতির কবি ছিলেন।

“বঙ্গবন্ধু ছিলেন বাঙালির সাহস এবং শক্তির উৎস, স্বপ্ন ও আকাঙ্ক্ষার প্রতীক। বঙ্গবন্ধু এমন এক ব্যক্তিত্ব যিনি দেশের ব্যক্তি মানুষের আকাঙ্ক্ষাকে নিজের ভেতরে ধারন করতে পেরেছিলেন।”

তিনি বলেন, “জাতির জনক সরকার পরিচালনার জন্য খুব কম সময় পেয়েছিলেন। কিন্তু সেই সময়ের মধ্যেই বাংলাদেশ রাষ্ট্র গঠনে তার স্বপ্নকে বাস্তব রূপ দিতে এমন সব যুগান্তকারী পরিকল্পনা নিয়েছিলেন যা দেখে আমরা এখন বিস্ময়ে হতবাক হয়ে পড়ি।”

বিশ্বজিৎ ঘোষ বলেন, “বঙ্গবন্ধুকে জানার ইচ্ছা সবার মাঝে দেখা যায় না। তাকে না জানলে তার অবদান বোঝা যাবে না। বঙ্গবন্ধুর জীবন ও কর্মই যুগ যুগ ধরে স্বপ্নের বাংলাদেশ নির্মাণে আমাদের পথ দেখাবে।”

জিয়াউর রহমান ও  হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের সামরিক শাসনামলে বঙ্গবন্ধুর কীর্তিকে ‘মুছে দেয়ার চক্রান্ত হয়েছে’ বলে অভিযোগ করেন শিল্পী হাশেম খান।

তিনি বলেন, “রাজাকাররা মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে মুছে দিতে চক্রান্ত করেছে। কিন্তু জনমানুষের এই নেতাকে বাঙালির হৃদয় থেকে মুছে ফেলা সম্ভব হয়নি।”

বাংলাদেশের জন্য বঙ্গবন্ধু কী অপরিসীম আত্মত্যাগ করেছেন, নিরন্তর লড়াই-সংগ্রাম করেছেন, ইতিহাসের সেই উজ্জ্বল ঘটনাপ্রবাহ সবারই জানা উচিত বলে মন্তব্য করেন ওসমান গণি।

বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে লেখা প্রায় ২৫০টি বই নিয়ে এ মেলা চলবে ৩১ অগাস্ট পর্যন্ত। প্রতিদিন খোলা থাকবে সকাল ১০ টা থেকে রাত ১০ টা পর্যন্ত।