ইসির সহকারী সচিব রৌশন আরা বেগম রোববার সংশ্লিষ্ট দলের মহাসচিব বরাবর চিঠি দিয়ে সময় বাড়ানোর বিষয়টি জানিয়েছেন।
রাজনৈতিক দলগুলোর ২০১৬ সালের আয়-ব্যয়ের হিসাব জমা দিতে ৩১ জুলাই পর্যন্ত সময় দেওয়া হলেও বিকল্পধারা বাংলাদেশ, বাংলাদেশ সাংস্কৃতিক মুক্তিজোট, বাংলাদেশ ন্যাশনালিস্ট ফ্রন্ট-বিএনএফ, বাংলাদেশ ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি ও ইসলামী ঐক্যজোট আরও সময় চেয়ে আবেদন করে।
রৌশন আরা বেগম বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “দলগুলোর আর্থিক লেনদেন নির্ধারিত ছকে জমা দিতে ৩১ অগাস্ট পর্যন্ত সময় বাড়ানো হয়েছে।”
ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ ও বিএনপিসহ বাকি ৩৫টি দল নির্ধারিত সময়ে অডিট রিপোর্ট জমা দিলেও সংসদের বিরোধী দল জাতীয় পার্টিসহ ১২টি দল প্রতিবেদন দেওয়ার ক্ষেত্রে যথাযথ নিয়ম অনুসরণ করেনি।
ওই ১২ দলকে প্রতি পাতায় নিরীক্ষা কর্তৃপক্ষ, দলের উপযুক্ত পদধারীর স্বাক্ষর ও সিলসহ পুনরায় ৩১ অগাস্টের মধ্যে অডিট রিপোর্ট দিতে চিঠি পাঠানো হয়েছে বলে রৌশন আরা জানান।
এই ১২ দল হল- ঐক্যবদ্ধ নাগরিক আন্দোলন, বাংলাদেশ মুসলীম লীগ-বিএমল, প্রগতিশীল গণতান্ত্রিক দল-পিডিপি, বাংলাদেশ জাতীয় পার্টি-বিজেপি, লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টি-এলডিপি, জাতীয় পার্টি, বাংলাদেশ জাতীয় পার্টি, গণতন্ত্রী পার্টি, ন্যাশনাল পিপলস পার্টি-এনপিপি, কৃষক শ্রমিক জনতা লীগ, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ ও জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টি-জাগপা।
২০০৯ সাল থেকে নির্বাচন কমিশনে দলগুলো আয়-ব্যয়ের হিসাব দিলেও তা প্রকাশ করে না সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানটি। দলের সম্মতি ছাড়া এ হিসাব প্রকাশ করা হয় না বলে তাদের যুক্তি।
তবে গত বছর আদালতের এক আদেশে বলা হয়, যে কোনো ব্যক্তি কোনো নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলের বার্ষিক আয়-ব্যয়ের হিসাব জানতে চাইলে নির্বাচন কমিশন দলের সম্মতি ছাড়াই তা প্রকাশ করতে পারবে।
রেজিস্টার্ড চার্টার্ড অ্যাকাউন্টিং ফার্মের মাধ্যমে নিরীক্ষা করে প্রতি বছর ৩১ জুলাইয়ের মধ্যে এই অডিট রিপোর্ট নির্বাচন কমিশনে জমা দেওয়ার আইনি বাধ্যবাধকতা রয়েছে। পরপর তিন বছর কমিশনে এ প্রতিবেদন দিতে ব্যর্থ হলে নিবন্ধন বাতিলের এখতিয়ার রয়েছে ইসির।