বন্যা: জান-মাল রক্ষায় ডিসিদের আগাম প্রস্তুতির নির্দেশ

প্রধান তিনটি নদ-নদীর অববাহিকায় পানি বাড়তে থাকায় দেশের মধ্যাঞ্চল ও দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চল পর্যন্ত বন্যার বিস্তৃতির আশঙ্কায় জেলা প্রশাসকদের আগাম প্রস্তুতির নির্দেশ দিয়েছে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তর।

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 13 August 2017, 08:26 PM
Updated : 13 August 2017, 08:26 PM

রোববার ‘অতি জরুরি’ এক চিঠিতে অধিদপ্তরের মহাপরিচালক রিয়াজ আহমেদ জেলা দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি ও জেলা প্রশাসকদের জীবন ও সম্পদের ক্ষয়ক্ষতি কমাতে পূর্ব প্রস্তুতি নিতে বলেছেন।

চিঠিতে বলা হয়, দেশের উজানে তিনটি অববাহিকায় (গঙ্গা, বহ্মপুত্র ও মেঘনা) দুই-তিন দিন ধরে মাঝারি থেকে ভারি বৃষ্টি হচ্ছে। এতে এ অববাহিকার নদীগুলোর ভারতীয় অংশে এবং বাংলাদেশের অভ্যন্তরে পানি প্রবাহ বাড়ছে।

গত ২৪ ঘণ্টায় বহ্মপুত্র-যমুনা নদীর ভারতীয় অংশে গড়ে ৭০ থেকে ৮০ সেন্টিমিটার এবং বাংলাদেশ অংশে ৫৫ সেন্টিমিটার, গঙ্গা-পদ্মা নদীর ভারতীয় অংশে ১৬ সেন্টিমিটার এবং বাংলাদেশ অংশে ১৫ সেন্টিমিটার, মেঘনা অববাহিককায় গড়ে ১ মিটার করে পানি বেড়েছে।

পানি বৃদ্ধির এই হার আগামী ৭২ ঘণ্টা অব্যাহত থাকতে পারে।

“একই সময়ে তিন অববাহিককায় পানি বাড়ার কারণে কুড়িগ্রাম, লালমনিরহাট জেলায় চলমান বন্যা গাইবান্ধা, জামালপুর, বগুড়া ও সিরাজগঞ্জ জেলায় বিস্তৃত হবে। পাশাপাশি মধ্যাঞ্চল ও দক্ষিণ মধ্যাঞ্চলে বিস্তৃত হবে।”

এ পরিস্থিতিতে সতর্কাবস্থা থাকা ও বন্যা মোকাবেলায় যেসব প্রস্তুতি নিতে বলেছে অধিদপ্তর-

  • জরুরি ত্রাণ সামগ্রী বিশেষ করে শুকনো খাবারের মজুদ রাখা এবং প্রয়োজনে অধিদপ্তরে চাহিদাপত্র দিতে বলা হয়েছে।
  • বেসরকারি সংস্থাগুলোর সঙ্গে আলোচনা, আপদকালীন পরিকল্পনা প্রণয়ন।
  • আশ্রয়কেন্দ্র ও স্বেচ্ছাসেবক সতর্ক-প্রস্তুত রাখা।
  • সুপেয় পানি সরবরাহ ও প্রয়োজনে বিকল্প উৎসের ব্যবস্থা করা।
  • শুকনো খাবার সরবরাহ ও প্রয়োজনে রান্না করা খাবার সরবরাহের ব্যবস্থা রাখা।
  • প্রয়োজনী জীবনরক্ষাকারী ওষুধ জেলায় মজুদ রাখা ও জরুরি পদক্ষেপ নেওয়া।
  • বৃদ্ধ, গর্ভবতী মহিলা ও প্রতিবন্ধীদের জন্য আশ্রয়কেন্দ্রে বিশেষ ব্যবস্থা রাখা।