মক্কায় বাংলাদেশ হজ অফিসের তথ্য অনুযায়ী, শনিবার পর্যন্ত ১৮২টি ফ্লাইটে মোট ৫৮ হাজার ৩৬১ জন হজ করতে সৌদি আরবে পৌঁছেছেন। অর্থাৎ এখনো ৬৮ হাজার ৮৩৭ জন সৌদি আরবে যাওয়ার অপেক্ষায় রয়েছেন।
চাঁদ দেখা সাপেক্ষে এবার ৩০ অগাস্ট হজ হতে পারে। সৌদি সরকার ১৭ অগাস্ট পর্যন্ত হজযাত্রীদের ভিসা দেবে এবং হজের শেষ ফ্লাইট যাবে ২৬ অগাস্ট।
কিন্তু ভিসা জটিলতা, সৌদি আরবে মোয়াল্লেম ফি বৃদ্ধি, টানা দ্বিতীয়বারের হজযাত্রীদের ক্ষেত্রে ভিসা ফি বৃদ্ধি এবং বাসা ভাড়ায় বিলম্বের কারণে এবারের হজযাত্রায় জটিলতা প্রকট আকার ধারণ করেছে।
গত ২৪ জুলাই ফ্লাইট শুরুর পর পর্যাপ্ত যাত্রী না পাওয়ায় বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনস ও সৌদি অ্যারাবিয়ান এয়ারলাইনসের মোট ২৭টি হজ ফ্লাইট বাতিল হয়েছে। এসব ফ্লাইটে প্রায় ১১ হাজার যাত্রী সৌদি আরবে যেতে পারতেন।
এ পরিস্থিতিতে হজযাত্রীদের জন্য বিমানের বাড়তি ফ্লাইটের ব্যবস্থা করা হলেও নির্ধারিত সময়ে সবাইকে সৌদি আরবে পৌঁছে দেওয়া যাবে কি না, সে বিষয়ে সংশয় রয়েছে।
ধর্ম মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব ফয়েজ আহমেদ ভূঁইয়ার সভাপতিত্বে শনিবার রাতে মক্কায় বাংলাদেশ হজ অফিসের কনফারেন্স কক্ষে হজ প্রশাসনিক দলের সমন্বয় সভা হয় ।
বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় আসা হজযাত্রীরা তাদের প্রাপ্য সুযোগ সুবিধা পাচ্ছেন কি না তা সরেজমিনে দেখার ও মতামত নেওয়ার সিদ্ধান্ত হয় সভায়।
শনিবার পর্যন্ত যারা সৌদি আরবে পৌঁছেছেন, তাদের মধ্যে তিন হাজার ৩৩৮ জন সরকারি ব্যবস্থাপনায় এবং ৫৫ হাজার ৪৩ জন বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় হজ করছেন।
সৌদি আরবে পৌঁছে এ পর্যন্ত ১২ জন বাংলাদেশি হজযাত্রীর মৃত্যু হয়েছে এবার।
বাংলাদেশ হজ অফিসের তথ্য অনুযায়ী, শনিবার রাত ১২টা পর্যন্ত মোট এক লাখ তিন হাজার ৭৫০ জন বাংলাদেশি হযাত্রীকে ভিসা দিয়েছে সৌদি কর্তৃপক্ষ। ২০ হাজার ৮৪১টি আবেদন এখনও প্রক্রিয়াধীন।
ধর্ম মন্ত্রণালয়ের সহকারী সচিব (হজ-২) এসএম মনিরুজ্জামান স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে শনিবার বলা হয়, ভিসা ইস্যুর সময় শেষ হতে হাতে মাত্র ৫ দিন, কিন্তু এখনও অনেক এজেন্সি ভিসা আবেদন পাঠায়নি। এ কারণে হজযাত্রীদের ভিসা পেতে সমস্য হতে পারে।
যেসব এজেন্সি এখনও ভিসার আবেদন সম্পন্ন করেনি, তাদের রোববারের মধ্যে আবেদন সম্পন্ন করতে বলা হয়েছে। এ কাজে ব্যর্থতার জন্য দায়ী এজেন্সিগুলোর লাইন্সেস বাতিল এবং জামানত ও হজযাত্রীদের অনুকূলে জমা রাখা বিমানভাড়া বাজেয়াপ্ত করা হবে বলে বিজ্ঞপ্তিতে সতর্ক করা হয়।