মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্তদের সাজা কার্যকর এবং আসামিদের আপিল শুনানি শেষে গত ২৬ জুলাই বিচারপতি ভবানী প্রসাদ সিংহ ও বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলামের হাই কোর্ট বেঞ্চ রোববার রায়ের এই দিন রেখেছিলেন।
সেদিন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল জাহিদ সরওয়ার কাজল বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেছিলেন, রাষ্ট্রপক্ষ ও আসামি পক্ষ মিলে ৩৩ কার্য দিবস এই মামলার শুনানি হয়েছে।
রষ্ট্রপক্ষের শুনানি শেষে অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম সাংবদিকদের বলেছিলেন, “নারায়ণগঞ্জের আলোচিত সাত খুনের মামলায় বিচারিক আদালত যে দণ্ড দিয়েছে, যদি কোনো অজুহাতে আপিলের রায়ে কারও দণ্ড কমানো হয় তাহলে আইন প্রতিষ্ঠার ক্ষেত্রে আদালতের ভূমিকা ব্যাহত হবে।”
আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর প্রতি জনগণের আস্থা ফিরিয়ে আনতে বিচারিক আদালতের দণ্ড আপিলের রায়ে বহাল রাখার আরজি জানানো হয়েছে বলে জানিয়েছিলেন তিনি।
নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের কাউন্সিলর নজরুল ইসলাম, আইনজীবী চন্দন সরকারসহ সাতজনকে ২০১৪ সালের ২৭ এপ্রিল ফতুল্লার লামাপাড়া থেকে অপহরণের তিনদিন পর শীতলক্ষ্যা নদীতে তাদের লাশ পাওয়া যায়।
ওই ঘটনায় নিহত নজরুলের স্ত্রী বিউটি ও চন্দন সরকারের জামাতা বিজয় কুমার পাল দুটি মামলা করেন। একসঙ্গে দুই মামলার বিচার শেষে গত ১৬ জানুয়ারি রায় দেন নারায়ণগঞ্জের জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক সৈয়দ এনায়েত হোসেন।
রায়ে র্যাব-১১ এর তৎকালীন কমান্ডার সেনাবাহিনীর বরখাস্ত লেফটেন্যান্ট কর্নেল তারেক সাঈদ মোহাম্মদ, সাবেক ওয়ার্ড কাউন্সিলর নূর হোসেনসহ ২৬ জনকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়, বাকি নয়জনকে দেওয়া হয় বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড। এই মামলার ৩৫ আসামির মধ্যে ২৫ জনই সশস্ত্র ও আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর কর্মকর্তা ও সদস্য।
মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্তদের মধ্য থেকে যারা কারাগারে আছেন তারা হাই কোর্টে ওই রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করেন। এছাড়া নিম্ন আদালতের মৃত্যুদণ্ডের রায় অনুমোদনের জন্য নথিও ডেথ রেফারেন্স আকারে হাই কোর্টে আসে।
এরপর প্রধান বিচারপতি এস কে সিনহা আলোচিত এ মামলার শুনানির জন্য গত ১৭ মে বেঞ্চ নির্ধারণ করে দিলে ২২ মে থেকে শুনানি শুরু হয়।