বুধবার রাতে উত্তরাসহ রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করা হয় বলে ঢাকা মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত উপ কমিশনার (মিডিয়া) মো. ইউসুফ আলী বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানিয়েছেন।
গ্রেপ্তার বিদেশিরা হলেন জন আগদি উগো, আফেজ, মাইকেল ইউজিনি ব্রাউন ও নামাদি কেলভিন।
গ্রেপ্তার বাংলাদেশিদের মধ্যে লিজা আক্তার নিজেকে উগোর স্ত্রী হিসেবে পরিচয় দিয়েছেন। অন্যরা হলেন মহসিন শেখ, তাসলিমা আক্তার পরভীন শিমু, জামাল হোসেন ও মজিবুর রহমান।
বৃহস্পতিবার এক সংবাদ সম্মেলনে যুগ্ম পুলিশ কমিশনার আব্দুল বাতেন বলেন, এরা ফেইসবুকসহ অন্যান্য সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে পরিচয় গড়ে তুলে ভুয়া কাগজপত্র পাঠিয়ে বিশ্বাস জন্মানোর পর টাকার লোভ দেখিয়ে প্রতারণা করে আসছিল।
লিজার ব্যাংক হিসাবে গত এক মাসে এক কোটির বেশি টাকা লেনদেনের তথ্য পুলিশ পেয়েছে বলে গোয়েন্দা কর্মকর্তা বাতেন জানান।
তিনি বলেন, এই সব বিদেশি নাগরিকদের বিভিন্ন সময় গ্রেপ্তার করে আদালতে পাঠালেও তারা জামিন নিয়ে পুনরায় একই অপরাধমূলক কাজে জড়িয়ে পড়েন।
“এসব অপরাধীদের ভিসার মেয়াদ শেষ হলে তারা পাসপোর্ট ছিঁড়ে ফেলে বা লুকিয়ে রাখে। ফলে তারা কোন দেশের নাগরিক, তা শনাক্ত করা কঠিন হয়ে যায়।”
এর আগেও বিভিন্ন সময়ে মাদক চোরাচালান, মোবাইল ফোন ও ইন্টারনেট ব্যবহার করে প্রতারণাসহ বিভিন্ন অভিযোগে বাংলাদেশে নাইজেরীয় নাগরিকরা গ্রেপ্তার হয়েছেন।
মোবাইল ফোনে লটারির লোভ দেখিয়ে প্রতারণার অভিযোগে গতবছর নভেম্বরে ঢাকায় চার নাইজেরীয়কে গ্রেপ্তার করা হয়।
তার এক মাস আগে ঢাকা নিউ মার্কেট এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয় দুই নাইজেরীয়সহ পাঁচজনকে, যারা জাতিসংঘের চিকিৎসক পরিচয় দিয়ে বাংলাদেশে ক্লিনিক স্থাপনের কথা বলে এক নারীর কাছ থেকে ২১ লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়েছিল।
এর আগে ভুয়া ব্রিজের ব্যবসার কথা বলে প্রতারণার অভিযোগে নাইজেরীয়দের আরেকটি চক্রকে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল জানিয়ে গোয়েন্দা কর্মকর্তা বাতেন জানিয়েছিলেন, ওই চক্রে ১৫/২০ জন জড়িত।