বেসিক ব্যাংকে ঋণে অনিয়ম: তদন্ত শেষ করতে ৬০ দিন

চল্লিশ কোটি টাকা ঋণ অনিয়মের মামলায় বেসিক ব্যাংকের সাবেক চেয়ারম্যান ও পরিচালনা পর্ষদের সদস্যদের আইনের আওতায়ে এনে ৬০ কার্যদিবসের মধ্যে তদন্ত শেষ করে দুদককে প্রতিবেদন দিতে বলেছে হাই কোর্ট।

নিজস্ব প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 26 July 2017, 09:25 AM
Updated : 26 July 2017, 09:25 AM

২০১০ সালে ওই ঋণ অনুমোদেনের সময় ব্যাংকের চেয়ারম্যান ছিলেন আব্দুল হাই বাচ্চু।

এ মামলায় এক আসামির জামিন আবেদনের বিরুদ্ধে করা দুদকের রিভিশন আবেদন খারিজ করে বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি সহিদুল করিমের বেঞ্চ বুধবার এ আদেশ দেয়।

আদালতে দুদকের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী সৈয়দ মামুন মাহবুব। আসামিপক্ষে শুনানি করেন পঙ্কজ কুণ্ড।

পরে মামুন মাহবুব বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “২০১০ সালের ২ নভেম্বর ক্রেডিট কমিটির সুপারিশ উপেক্ষা করে বেসিক ব্যাংকের চেয়ারম্যান ও পরিচালনা পর্ষদ সৈয়দ ট্রেডার্সের ম্যানেজিং পার্টনার সৈয়দ মাহবুবুল গণিকে ৪০ কোটি টাকা ঋণের অনুমোদন দেয়। ব্যাংকের শান্তিনগর শাখা থেকে এ ঋণ দেওয়া হয়।  

“এ ঘটনায় ২০১৫ সালের ২৩ সেপ্টেম্বর রাজধানীর পল্টন থানায় মামলা করে দুদক। মামলায় ঋণগ্রহীতা সৈয়দ মাহবুবুল গণি, রূপসা সার্ভেয়ার কোম্পানির চিফ সার্ভেয়ার শাহজাহান আলীসহ ৯ জনকে আসামি করা হয়।”

মামলার আসামি শাহজাহান আলী গত বছরের ১০ আগস্ট গ্রেপ্তার হন। পরে তিনি ২৮ সেপ্টেম্বর ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালত থেকে জামিন নেন। এই জামিনের বিরুদ্ধে হাই কোর্টে রিভিশন আবেদন করে দুদক। 

বুধবার সেই আবেদনের শুনানি নিয়ে আদেশ দেয় হাই কোর্ট।

মামুন মাহবুব বলেন, “দুই বছরেও মামলাটির তদন্ত শেষ না হওয়ায় উষ্মা প্রকাশ করেছেন আদালত। তাছাড়া যারা ঋণ অনুমোদ দিয়েছেন তাদের কাউকেই এ মামলায় আসামি করা হয়নি।

“তাই বেসিক ব্যাংকের তৎকালীণ চেয়ারম্যান ও পরিচালনা পর্ষদের সকল সদস্যদের আইনের আওতায় এনে আদেশ পাওয়ার ৬০ কার্যদিবসের মধ্যে তদন্ত শেষ করে প্রতিবেদন দিতে বলেছে।”

আর দুই বছরেও তদন্ত শেষ না হওয়ায় আসামি শাহজাহান আলীর জামিন বহাল রাখা হয়েছে বলে জানান তিনি।

আব্দুল হাই বাচ্চু বেসিক ব্যাংকের চেয়ারম্যান থাকা অবস্থায় ২০০৯ থেকে ২০১২ সালের মধ্যে ব্যাংকটির দিলকুশা, গুলশান ও শান্তিনগর শাখা থেকে নিয়মবহির্ভূতভাবে সাড়ে ৪ হাজার কোটি টাকা উত্তোলন ও আত্মসাতের ঘটনা ঘটে।

ঋণপত্র যাচাই না করে জামানত ছাড়াই জাল দলিলে ভুয়া ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানকে ঋণ দেওয়াসহ নিয়ম না মেনে ‍ঋণ অনুমোদনের অভিযোগ ওঠে তখনকার পরিচালনা পর্ষদের বিরুদ্ধে।

এ বিষয়ে ২০১০ সাল থেকে অনুসন্ধান শুরু করে দুদক। প্রায় চার বছর অনুসন্ধান শেষে ২০১৫ সালে রাজধানীর তিনটি থানায় ১৫৬ জনকে আসামি করে ৫৬ টি মামলা করে কমিশন।