নারী-শিশুর নির্যাতনকারীরা যেন পার না পায়: ডিসিদের চুমকি

নারী ও শিশুদের নির্যাতনকারীরা যেন কোনোভাবেই পার না পায় সেদিকে খেয়াল রাখতে জেলা প্রশাসকদের (ডিসি) নির্দেশ দিয়েছেন মহিলা ও শিশু বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী মেহের আফরোজ চুমকি।

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 26 July 2017, 08:39 AM
Updated : 26 July 2017, 09:17 AM

ডিসি সম্মেলনের দ্বিতীয় দিন বুধবার সচিবালয়ে মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয় এবং শিল্প মন্ত্রণালয় সংক্রান্ত কার্য-অধিবেশনে প্রতিমন্ত্রী ডিসিদের এই নির্দেশ দেন।

অধিবেশন শেষে চুমকি সাংবাদিকদের বলেন, “নারী ও শিশুর প্রতি কোথাও সহিংসতা হলে- যারা সহিংসতা করবে তারা যেন কোনোভাবেই পার না পায় সেদিকে খেয়াল রাখার কথা বলেছি। কোথায়, কখন, কোন ঘটনা ঘটবে- সব সময় কারো পক্ষেই জানা সম্ভব না।”

বাল্য বিয়ের হার কমে আসায় সন্তোষ প্রকাশ করে এজন্য ডিসিদের ধন্যবাদ জানিয়েছেন মহিলা ও শিশু বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী।

তিনি বলেন, “আমাদের যে কয়টা চ্যালেঞ্জ আছে তার মধ্যে একটি হল বাল্য বিয়ে। বাল্য বিয়ের ব্যাপারে আশাব্যঞ্জক বিষয় হল, বাল্যবিয়ে নিয়ে সর্বশেষ যে রিপোর্ট এসেছে- সেখানে বাল্য বিয়ে আমরা যেভাবে প্রত্যাশা করছি, সেটা (বাল্য বিয়ে) অনেকাংশে কমে এসেছে।”

সিলেট বিভাগে বাল্য বিয়ে অনেক কমে গেছে জানিয়ে চুমকি বলেন, “এজন্য তাদের ধন্যবাদ দিয়েছি। প্রত্যেক ডিসিকে আমরা দিকনির্দেশনা দিয়েছি আপনারা প্রত্যেকে এ ব্যাপারে বেশি সক্রিয় হবেন।

“বিয়ে বন্ধ করাটাই মূল কাজ নয়। কেন বিয়ে দিচ্ছে, কী সমস্যার কারণে বিয়ে দিচ্ছে সেটাও আমাদের সমাধান করতে হবে। যতক্ষণ না সেটা সমাধান না করছি, লুকিয়ে লুকিয়ে বাল্য বিয়ে দেবেই।”

প্রতিমন্ত্রী বলেন, “আমরা শুধু বাল্য বিয়ে বন্ধ করেই বাহবা নেব না, বাল্য বিয়েটা কেন হচ্ছে সেই কেনর সমাধন করতে হবে। এ বিষয়ে আমরা বিশেষভাবে ডিসিদের নির্দেশনা দিয়েছি।”

বাল্য বিয়ে নিয়ে সরকারের হাতে আসা সর্বশেষ প্রতিবেদন আগামী ৩১ জুলাই উপস্থাপন করা হবে বলেও জানান চুমকি।

কর্মজীবী নারীদের জন্য হোস্টেল নির্মাণ এবং শিশু অ্যাকাডেমির ভবন সম্প্রসারণে ডিসিরা প্রস্তাব রেখেছেন জানিয়ে প্রতিমন্ত্রী বলেন, ডিসিদের সঙ্গে মন্ত্রণালয়ের কার্যক্রমগুলোকে কীভাবে সমন্বয় করব, কীভাবে তাদের আরও অ্যাকটিভ করব সে বিষয়ে আলোচনা হয়েছে।

শিল্পমন্ত্রী আমির হোসেন আমু এই কার্যঅধিবেশনে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকার কথা থাকলেও অসুস্থতার জন্য তিনি এতে অংশ নেননি।

মন্ত্রিপরিষদ সচিব মোহাম্মদ শফিউল আলমের সভাপতিত্বে সব বিভাগীয় কমিশনার, জেলা প্রশাসক এবং সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের সচিবসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা এই কার্যঅধিবেশনে অংশ নেন।