ডিসি সম্মেলনের দ্বিতীয় দিন বুধবার সচিবালয়ে পানিসম্পদ এবং কৃষি মন্ত্রণালয় সংক্রান্ত কার্য-অধিবেশন শেষে পানিসম্পদ মন্ত্রী সাংবাদিকদের এই তথ্য জানান।
তিনি বলেন, “বেশিরভাগ নদীর পানি বিপদসীমার নিচে আছে। জলাবদ্ধতা আর বন্যার পার্থক্য কিন্তু আপনাদের বুঝতে হবে। সাধারণত বড় বন্যা হয় যখন যমুনার পানি, পদ্মার পানি এবং মেঘনার পানি এক সাথে বাড়ে। সাথে যদি সাগরে তখন অমাবস্যা থাকে, তখন বন্যার প্রকোপ হয়।
“এবার ইতোমধ্যে দ্বিগুণ বৃষ্টি হয়েছে। সেজন্য আমরা একটা ওয়ার্নিং দিয়ে রাখছি যে (বড় বন্যার) একটা সম্ভাবনা আছে। আর এই বন্যাটা হয় অগাস্টের তৃতীয় সপ্তাহে। সেটার জন্য একটা প্রস্তুতি নিতে পানি উন্নয়ন বোর্ডকে বিশেষভাবে বলা হয়েছে।”
যেসব বাধ দুর্বল সেগুলোকে ঠিক করতে সংশ্লিষ্টদের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে বলেও জানান আনিসুল ইসলাম।
ডিসিরা নদী ভাঙন নিয়ে কথা বলেছেন জানিয়ে আনিসুল ইসলাম বলেন, “নদী ভাঙবেই, নদীর একটা জিনিস আমরা বুঝতে চাই না, নদীগুলোর ক্যাচমেন্ট এরিয়ার ৯৩ ভাগ কিন্তু বাংলাদেশের বাইরে।
“ভারতে কিন্তু বন্যা হয়েছে, বন্যায় লোকও মারা গেছে, বাংলাদেশে কিন্তু সে রকম ঘটনা ঘটেনি। ভাঙনের যে সমস্যাগুলো আছে সেগুলো আমরা দেখছি। ভাঙন প্রতিরোধ করা খুব ব্যয়সাদ্ধ বিষয়। যে রিসোর্স আছে সেই রিসোর্সের মধ্যে করার চেষ্টা করছি। আমরা বিভিন্ন জায়গায় প্রকল্প নিয়েছি। এর সঙ্গে খনন ও ড্রেজিং যোগ করেছি।”
আগামীতে পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের মোট বাজেটের অর্ধেক অর্থ ড্রেজিংয়ের জন্য ব্যয় করা হবে বলেও জানান পানিসম্পদ মন্ত্রী।
মন্ত্রিপরিষদ সচিব মোহাম্মদ শফিউল আলমের সভাপতিত্বে সব বিভাগীয় কমিশনার, জেলা প্রশাসক এবং সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী, প্রতিমন্ত্রী, সচিবসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা এই কার্যঅধিবেশনে অংশ নেন।