ঢাকায় জঙ্গি সন্দেহে গ্রেপ্তার ৩

ঢাকার আফতাবনগর এলাকা থেকে জঙ্গি সন্দেহে এক বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রসহ তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে র‌্যাব।

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 26 July 2017, 04:43 AM
Updated : 26 July 2017, 02:49 PM

র‌্যাব-৩ এর অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল তুহিন মো. মাসুদ জানান, মঙ্গলবার রাতে বাড্ডার আফতাবনগর এলাকা থেকে তাদের তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হয়।

এরা হলেন- ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র মুশফিকুল হক (২৪), মামুনুর রশিদ ওরফে আবু ইউশা (২৬) এবং বিপ্লব হোসেন কামাল ওরফে সুন্নাহ কামাল ওরফে মাওলানা কামাল হোসেন বিপ্লবী (২৬) ।

তুহিন মো. মাসুদ বলেন, “তারা আফতাব নগর এলাকায় বৈঠকের জন্য জড়ো হয়েছিল। খবর পেয়ে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।” 

বুধবার দুপুরে কারওয়ান বাজারে র‌্যাবের এক সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেপ্তাররা জানিয়েছে, তারা জেএমবির সারোয়ার-তামিম গ্রুপের সদস্য। সংগঠনের পক্ষে কর্মী সংগ্রহ, অর্থ সংগ্রহ ও জঙ্গিবাদে উদ্বুদ্ধ করার কাজে নিয়োজিত ছিল তারা।

লেফটেন্যান্ট কর্নেল তুহিন মো. মাসুদ বলেন, “তারা ইমাম মেহেদী নামে একজন বড় ভাইয়ের তত্ত্বাবধানে জেএমবির সারোয়ার-তামিম গ্রুপের পুনর্গঠনের কাজে বেশ তৎপর ছিল।”

সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের ফার্মেসি বিভাগের অষ্টম সেমিস্টারের ছাত্র  মুশফিক  ২০১২ সাল থেকে ‘রিটার্ন টু ইসলাম’ নামে একটি সংগঠনের সঙ্গে জড়িত ছিলেন। ওই সংগঠনের ‘অন্যতম পৃষ্ঠপোষক’ মামুনুর রশিদ ওরফে কাজল ওরফে ইবনে আজিজুর রহমানই তাকে জেএমবির সারোয়ার-তামিম গ্রুপের আদর্শে অনুপ্রাণিত করে।

“প্রথমে তাকে অনুবাদক হিসাবে দায়িত্ব দেওয়া হয়। পরে সে মোবাইলে অ্যাপের মাধ্যমে জঙ্গি সংশ্লিষ্ট বার্তা আদান প্রদান, ভিডিও ও বিভিন্ন আর্টিকেলের কপি প্রচার এবং জঙ্গি তহবিল ব্যবস্থাপনায় জড়িয়ে পড়ে।”

গ্রেপ্তার মামুনুর রশিদ আরবি ভাষার জঙ্গিবাদী লেখা সংগ্রহ করে তা অনুবাদের মাধ্যমে জঙ্গিবাদে উদ্বুদ্ধ করার কাজে নিয়োজিত ছিলেন বলে র‌্যাবের ভাষ্য।

সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, কামাল জঙ্গিবাদে উদ্বুদ্ধকরণ ও কর্মী সংগ্রহের কাজে নিয়োজিত ছিলেন। একটি আইটি কোম্পানিতে চাকরির সুবাদে ইন্টারনেট থেকে বিভিন্ন জঙ্গিবাদী ভিডিও, বই ও লেখা সংগ্রহ করে তা সরবরাহের কাজ করতেন তিনি।

এদের রিমান্ডে এনে জিজ্ঞাসাবাদ করলে আরও অনেক তথ্য পাওয়া যেতে পারে বলে মন্তব্য করেন র‌্যাব-৩ এর অধিনায়ক।