জবিতে নারী সহকর্মীকে পরীক্ষা নিয়ন্ত্রকের হয়রানির অভিযোগ

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক একেএম আক্তারুজ্জামানের বিরুদ্ধে অশ্লীল ও অশোভন আচরণের অভিযোগ করেছেন ওই দপ্তরের এক নারী কর্মকতা।

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 25 July 2017, 05:43 PM
Updated : 25 July 2017, 05:46 PM

অভিযোগ খতিয়ে তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি করা হয়েছে বলে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মীজানুর রহমান জানিয়েছেন।

পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক দপ্তরে কর্মরত সহকারী রেজিস্ট্রার পদ মর্যাদার ওই নারী কর্মকর্তা গত ২৯ মার্চ উপাচার্য বরাবর লিখিত আবেদনে পরীক্ষা নিয়ন্ত্রকের বিরুদ্ধে দাপ্তরিক শিষ্টাচার ও মর্যাদাহানিকর আচরণের অভিযোগ তোলেন।

তিনি মঙ্গলবার বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক মহোদয় আমাকে একা ডেকে তার কক্ষে অশ্লীল ও অশোভন কথা বলেন। পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক আমাকে বলেন, তুমি তো লিপিস্টিক লাগাও, তোমার স্বামী তো বিদেশ থাকে।তিন মাস স্বামীর সাথে একত্রে না থাকলে ডিভোর্স হয়ে যায়।কাজেই তোমার তো স্বামী নেই।

“আমি তার প্রতিবাদ করায় তিনি প্রতিনিয়ত প্রভাবশালী কর্মকর্তাদের দিয়ে এবং নিজে আমাকে পারাবারিকভাবে হেয় প্রতিপন্ন হয় এমন কথাবার্তা বলেন।”

এরইমধ্যে তদন্ত কমিটিকে তথ্য-প্রমাণ দিয়েছেন বলে জানান তিনি।

বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন অনুষদের ডিন সরকার আলী আক্কাসকে প্রধান করে  করা তদন্ত কমিটির অপর সদস্যরা হলেন- গণযোগাযোগতা ও সাংবাদিকতা বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. হেলেনা ফেরদৌস এবং বায়োটেকনোলজি অ্যান্ড জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের চেয়ারম্যান লাইসা আহমেদ লিসা।

অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক একেএম আক্তারুজ্জামান বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “আমি যা বলার তদন্ত কমিটিকে বলব। আপনারা সেখানে যোগাযোগ করতে পারেন। তিনি ( নারী কর্মকর্তা) অনেকের বিরুদ্ধে বলেন।”

ওই নারী কর্মকর্তা ২০১০ সালে সহকারী রেজিস্ট্রার হিসেবে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে যোগ দেন। ২০১৫ সালের ২২এপ্রিল পরীক্ষা নিয়ন্ত্রকের দপ্তরে বদলি হয়ে বিল শাখায় দায়িত্ব পালন করছেন।