‘প্র্যাংক ভিডিও’ ছড়ানো বন্ধে পদক্ষেপ নয় কেন: হাই কোর্ট

রাস্তাঘাটে মানুষকে হয়রানি করে তার ভিডিও (প্র্যাংক ভিডিও) ইউটিউবসহ ইন্টারনেটে ছড়ানো বন্ধে কার্যকর পদক্ষেপ নিতে কেন নির্দেশ দেওয়া হবে না, তা জানতে চেয়েছে হাই কোর্ট।

নিজস্ব প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 24 July 2017, 06:17 PM
Updated : 25 July 2017, 02:49 AM

জনস্বার্থে দুই আইনজীবীর দায়ের করা এক রিট আবেদনের শুনানি নিয়ে সোমবার একটি হাই কোর্ট বেঞ্চ সোমবার এ আদেশ দেয়।

আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী মোহাম্মদ হোসেন ও শিকদার মাহমুদুর রাজী।

আবেদনকারী আইনজীবীর অন্যতম ব্যারিস্টার নূর মুহাম্মদ আজমী (মিল্লাত) বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, বিষয়টি গণমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদন যুক্ত করে বৃহস্পতিবার আবেদন করা হয়।

“আজ (সোমবার) তার শুনানি শেষে রাস্তাঘাটে হয়রানিমূলক ‘প্র্যাংক’ বন্ধে সরকারকে কেন নির্দেশনা দেওয়া হবে না, জানতে চেয়ে রুল জারি করেছে।”

দুই সপ্তাহের মধ্যে স্বরাষ্ট্র সচিব, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি সচিব, বিটিআরসির চেয়ারম্যান ও সচিব, পুলিশের মহাপরিদর্শক এবং ডিএমপি কমিশনারকে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।

নূর মুহাম্মদ বলেন, ‘প্র্যাংক’ করে ভিডিও ইউটিউবে আপলোড করা নিয়ে সম্প্রতি একটি অনলাইন সংবাদমাধ্যমে প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়।

সেখানে হয়রানির একটি ঘটনা তুলে ধরে বলা হয়, চন্দ্রিমা উদ্যানে বসা একটি মেয়েকে একটি ছেলে এসে বললো, আপু আপনার সঙ্গে কথা বলতে চাই। মেয়েটি হ্যাঁ সূচক জবাব দেওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই ছেলেটি পেছন থেকে একটি সাপ বের করে তার সামনে ধরে। তখন মেয়েটি সত্যিই সাপ মনে করে ভয়ে দৌড় দেন। দৌড়াতে গিয়ে ইটে হোঁচট খেয়ে রাস্তায় পড়ে প্রচণ্ড ব্যথা পান। তখন চার দিকের মানুষগুলো অনেক জোরে জোরে হাসছিল। এক পর্যায়ে ওই ছেলেসহ আরও কয়েকজন এসে মেয়েটিকে বললো, ‘আপু আমরা প্র্যাংক করেছি।’

এই আইনজীবী বলেন, “এটা পাবলিক প্লেসে রীতিমত হেনস্থা। তারা গোপনে এটা ভিডিও করে ইউটিউবে আপলোড করে অর্থ আয় করে। শপিং মল বা পার্কে এটা বেশি হয়ে থাকে।

“প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, ইউটিউবে এরকম অসংখ্য ভিডিও আছে। যেমন নিরিবিলি পার্কে রাস্তার পাশে সন্ধ্যার পর হঠাৎ করে মুখোশ পরে গাছের আড়াল থেকে হাজির হওয়া। হঠাৎ কোন একটি মেয়েকে কোনো একটি ছেলে গিয়ে বলছে, ‘আপনাকে চুমু খেতে চাই। আপনি কি রাজি?’ এসব আচরণে নাগরিকরা হেনস্থার শিকার হচ্ছেন।”