জনস্বার্থে করা এক রিট আবেদনের শুনানি নিয়ে বিচারপতি কাজী রেজা-উল হক ও বিচারপতি মোহাম্মদ উল্লার হাই কোর্ট বেঞ্চ সোমবার রুলসহ এ আদেশ দেয়।
অকেজো বা নষ্ট ফ্রিজার ও এয়ার কন্ডিশনার মেরামত বা বদলে ফেলতে কী পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে, তা আদেশ পাওয়ার ৬০ দিনের মধ্যে প্রতিবেদন আকারে জানাতে নির্দেশ দিয়েছে আদালত।
এবিষয়ে ৬০ দিনের মধ্যে অগ্রগতির প্রতিবেদন দিতে স্বাস্থ্য সচিব, শিক্ষা সচিব, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ও স্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের পরিচালককে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গের অকেজো ফ্রিজ ও এয়ার কন্ডিশনার নিয়ে গণমাধ্যমের প্রতিবেদন যুক্ত করে রোববার জাস্টিস ওয়াচ ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক মাহফুজুর রহমান মিলন রিট আবেদনটি করেন।
মাহফুজুর রহমান বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, চলতি বছরের ১০ ফেব্রুয়ারি ইংরেজি দৈনিক নিউ এইজে ‘ডিএমসি মারচুয়ারিজ এয়ার কন্ডিশনার্স, ফ্রিজার্স আউট অব অর্ডার ফর মানথস’ শিরোনামে এক প্রতিবেদন যুক্ত করে আবেদন করা হয়।
“সেটির শুনানি নিয়ে আদালত ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালসহ দেশের যেসব হাসপাতালে মর্গ আছে এবং সেসব মর্গে কোনো ফ্রিজার ও এয়ার কন্ডিশন অকেজো থেকে থাকলে তা মেরামত বা বদলে ফেলতে দ্রুত প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে নির্দেশ দিয়েছে।”
আদেশের সঙ্গে দেওয়া রুলে ঢাকা মেডিকেল কলেজ মর্গের অকেজো ফ্রিজার ও এয়ারকন্ডিশনার সচল/মেরামতে/বদলে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে বিবাদীদের ব্যর্থতা/নিষ্ক্রিয়তা কেন অবৈধ হবে না, তা জানতে চেয়েছে হাই কোর্ট।
স্বাস্থ্য সচিব, শিক্ষা সচিব, আইন সচিব, স্বরাষ্ট্র সচিব, পরিকল্পনা সচিব, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক, ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক, স্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের পরিচালক, প্রধান প্রকৌশলী, তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী (সার্কেল-১), ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি, রেজিস্ট্রার, ঢাকা মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ ও ফরেনসিক মেডিসিন বিভাগের প্রধানসহ মোট ১৩ বিবাদীকে চার সপ্তাহের মধ্যে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
এ বিষয়ে সম্প্রতি একটি দৈনিকের প্রতিবেদন উদ্বৃতি দিয়ে রিট আবেদনকারী এই আইনজীবী বলেন, ঢাকা মেডিকেল কলেজের মর্গে ২৫টি বেওয়ারিস বা অজ্ঞাত লাশে পচন ধরেছে। মর্গের যে কর্মীরা প্রতিনিয়ত পচাগলা লাশ দেখে অভ্যস্ত, তারাও লাশের এই দশা আর সহ্য করতে পারছেন না।