ঢাকার মহানগর হাকিম আহসান হাবিবের খাসকামরায় রোববার জবানবন্দি দেওয়ার পর সোহেলকে কারাগারে পাঠানো হয় বলে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পুলিশের কাউন্টার টেররিজম ইউনিটের পরিদর্শক হুমায়ুন কবির জানান।
তিনি বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “সোহেল ওই হামলার মূল পরিকল্পনাকারী ও অস্ত্রের যোগানদাতা হিসাবে দেওয়া জবানবন্দিতে অস্ত্রের উৎস ও সরবরাহ সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য দিয়েছেন।”
তাকে নিয়ে এ পর্যন্ত চারজন এই মামলায় ১৬৪ ধারায় দোষ স্বীকার করে জবানবন্দি দিলেন।
গত বছর ১ জুলাই হলি আর্টিজান ক্যাফেতে নজিরবিহীন জঙ্গি হামলায় ১৭ বিদেশিসহ ২২ জন নিহত হন।
এরপর সারা দেশে জঙ্গিবিরোধী ব্যাপক তৎপরতা চালায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। পুলিশের অভিযানে হামলার মূল পরিকল্পনাকারী হিসেবে চিহ্নিত তামিম আহমেদ চৌধুরীসহ এই গোষ্ঠীর শীর্ষস্থানীয় কয়েকজন নিহত হন।
এরপর তদন্তকারী সংস্থা পুলিশের কাউন্টার টেররিজম ইউনিটের পক্ষ থেকে ‘হামলায় সম্পৃক্ত’ আরও কয়েকজনের নাম বলা হয়, তাদের মধ্যে অন্যতম ছিলেন সোহেল মাহফুজ।
গত ৭ জুলাই চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জের একটি আমবাগান থেকে তাকে গ্রেপ্তারের কথা জানায় পুলিশ।
গুলশান থানার সন্ত্রাসবিরোধী আইনের মামলায় গত ৯ জুলাই সোহেল মাহফুজের সাতদিনের এবং ১৭ জুলাই ছয়দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করে আদালত।
দ্বিতীয় দফা রিমান্ড চলাকালে সোহেল মাহফুজ স্বেচ্ছায় জবানবন্দি দিতে রাজি হওয়ায় রোববার তাকে আদালতে হাজির করা হয় বলে তদন্ত কর্মকর্তা জানান।