মিশনগুলোর আয়ের সাড়ে তিন হাজার কোটি টাকার খোঁজে দুদক

পাসপোর্ট ও ভিসা প্রসেসিং ফি বাবদ পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বিদেশ মিশনগুলোর আয়ের সাড়ে তিন হাজার কোটি টাকা কোথায় গেছে, তা খুঁজে দেখতে কমিটি করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন-দুদক।

নিজস্ব প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 23 July 2017, 02:26 PM
Updated : 23 July 2017, 02:51 PM

রোববার কমিশন সভায় ওই সব মিশনের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ অনুসন্ধানের সিদ্ধান্ত হয় বলে দুদকের জনসংযোগ কর্মকর্তা প্রণব কুমার ভট্টাচার্য্য জানিয়েছেন।

তিনি বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, এ বিষয়ে অনুসন্ধান চালাতে দুদকের পরিচালক সৈয়দ ইকবাল হোসেনের নেতৃত্বে তিন সদস্যের একটি কমিটি করা হয়েছে। আগামী ৩০ কর্মদিবসের মধ্যে তাদের প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে।

অনুসন্ধান দলের অপর দুই সদস্য হলেন-উপ-পরিচালক আহমারুজ্জামান ও সহাকরী পরিচালক শুলশান আনোয়ার।

প্রণব কুমার বলেন, ৬৫টি মিশন থেকে মেশিন রিডেবল পাসপোর্ট (এমআরপি) নবায়ন ও ভিসা প্রসেসিং ফি বাবদ পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের আদায় করা তিন হাজার ৭৮৬ কোটি টাকা সরকারের খাতে জমা না দিয়ে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা নিজেদের প্রয়োজনে ব্যয়সহ ‘আত্মসাৎ’ করেন। ওই সব অর্থ স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে সরকারি খাতে জমা হওয়ার কথা ছিল।

এ বিষয়ে গত ১৮ জুন একটি ইংরেজি দৈনিকের প্রতিবেদন আমলে নিয়ে তা অনুসন্ধানের সিদ্ধান্ত হয় বলে তিনি জানান।

স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক কার্যপত্রের বরাত দিয়ে ওই প্রতিবেদনে বলা হয়, ৬৮টি মিশন ২০১৩ থেকে ২০১৬ সাল পর্যন্ত ২৯ লাখ ৮৯ হাজার এমআরপি ইস্যু করে, যা থেকে দুই হাজার ৫২ কোটি টাকা আসে।

ওই সময়েরর মধ্যে ৬৫টি মিশন থেকে ৩০ লাখের বেশি হাতে লেখা পাসপোর্ট ফি বাবদ এক হাজার ৫৮৬ কোটি টাকা আদায় হয়। আর ২০১২ সাল থেকে ২০১৬ সাল নাগাদ মিশনগুলোতে মেশিন রিডেবল ভিসা ফি বাবদ ১৪৮ কোটি আদায় হয়।

এমআরপি থেকে আসা অর্থ সম্পর্কে জানতে চাইলে বহিরাগমন ও পাসপোর্ট অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মো. মাসুদ রেজওয়ান বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “বাংলাদেশে আমরা যে অর্থটা কালেক্ট করি সেটা সরকারি খাতে প্রতিমাসেরটা প্রতিমাসেই জমা দিয়ে দিই। কিন্তু বিদেশ থেকে যে টাকাটা এ খাত থেকে আসে, সেটা জমা পড়ছে না। কখনও পড়েনি।”

স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অধীনে এই অর্থ জমা দেন বলে জানান তিনি।