পেটে গজ রেখে সেলাই: চিকিৎসকদের হাই কোর্টে তলব

পটুয়াখালীর বাউফলে এক প্রসূতির অস্ত্রোপচারের সাড়ে তিন মাস পর তার পেট থেকে গজ বের করার ঘটনায় স্থানীয় একটি ক্লিনিকের মালিকসহ সংশ্লিষ্ট চিকিৎসকদের তলব করেছে হাই কোর্ট।

নিজস্ব প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 23 July 2017, 11:32 AM
Updated : 23 July 2017, 11:50 AM

বাউফলের নিরাময় ক্লিনিকের স্বত্বাধিকারী, পটুয়াখালীর সিভিল সার্জন ও বরিশালের শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজের গাইনি বিভাগের প্রধানকে ১ আগস্ট আদালতে হাজির হয়ে ব্যাখ্যা দিতে বলা হয়েছে।

বিচারপতি সালমা মাসুদ চৌধুরী ও বিচারপতি এ কে এম জহিরুল হকের বেঞ্চ রোববার স্বপ্রণোদিত হয়ে এ আদেশ দেয়।

পাশাপাশি সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে দায়িত্বে অবহেলার অভিযোগ কেন আনা হবে না তা জানতে চেয়ে রুল জারি করা হয়েছে।

স্বাস্থ্য সচিব ও স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালকসহ ৯ বিবাদীতে চার সপ্তাহের মধ্যে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।

মাকসুদা বেগম নামে এক ভুক্তভোগী প্রসূতিকে নিয়ে ‘সাড়ে তিন মাস পর পেট থেকে বের হল গজ!’ শিরোনামে প্রথম আলোর একটি প্রতিবেদন আইনজীবী মো. শহিদ উল্লা আদালতের নজরে আনলে এ আদেশ আসে।

পরে শহিদ উল্লা সাংবাদিকদের বলেন, চিকিৎসকদের সামান্য অবহেলায় রোগীর অনেক বড় ক্ষতি হয়ে যেতে পারে। তাই মাকসুদার বিষয়টি আদালতের নজরে আনা হয়েছে।

ওই প্রতিবেদনে বলা হয়, ‘গত মার্চে সন্তান প্রসবের জন্য মাকসুদা বেগমকে (২৫) বাউফলের নিরাময় ক্লিনিকে নেওয়া হয়। অস্ত্রোপচার করে মাকসুদার একটি মেয়ে হয়। কয়েক দিন ক্লিনিকে থাকার পর তারা বাড়ি ফেরেন। এক মাস পর মাকসুদা পেটে তীব্র ব্যথা অনুভব করায় আবারও ওই ক্লিনিকে যান। চিকিৎসকেরা পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে ওষুধ দিয়ে ব্যথা কমানোর চেষ্টা করেন।

দুই মাস পর খিঁচুনি দিয়ে জ্বর ওঠে। তখন খাওয়া-দাওয়াও বন্ধ হয়ে যায়। গত জুনে বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বহির্বিভাগে দেখানো হয়। তখন আলট্রাসনোগ্রাফিতেও কিছু ধরা পড়েনি।

এরপর পটুয়াখালীর এক চিকিৎসক তাকে হাসপাতালে ভর্তির পরামর্শ দেন। ১২ জুলাই হাসপাতালে মাকসুদার পেটে অস্ত্রোপচার হয় তখন তার পেটের ভেতর থেকে গজ বের করা হয়।’