জয় ‘হত্যার ষড়যন্ত্র’: তদন্ত প্রতিবেদন জমা ফের পেছাল

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয়কে ‘অপহরণ করে হত্যার ষড়যন্ত্রের’ মামলায় তদন্ত প্রতিবেদন জমা আবারো পিছিয়েছে।

আদালত প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 23 July 2017, 06:31 AM
Updated : 23 July 2017, 06:31 AM

রোববার প্রতিবেদন জমার দিন ধার্য থাকলেও মামলার তদন্ত কর্মকর্তা তা দিতে ব্যর্থ হওয়ায় ঢাকার মহানগর হাকিম সরাফুজ্জামান আনছারী আগামী ২৩ অগাস্ট নতুন দিন ঠিক করেন। 

সর্বশেষ গত ১৩ জুন নির্ধারিত তারিখেও প্রতিবেদন জমা দিতে পারেননি তদন্ত কর্মকর্তা ।  প্রায় দুই বছর আগে দায়ের করা এ মামলায় প্রতিবেদন জমায় ১৪ বার  তারিখ পেছালো।

আদালতসংশ্লিষ্ট পুলিশের এস আই জালাল আহমেদ বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, কেন তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিতে পারছেন না সে কারন আদালতের সামনে ব্যাখ্যা করেননি তদন্ত কর্মকর্তা জ্যেষ্ঠ সহকারী কমিশনার হাসান আরাফাত। বিচারকও কোনো কারণ দর্শাতে বলেননি তাকে।

জয়কে যুক্তরাষ্ট্রে ‘অপহরণের লক্ষ্যে’ তার সম্পর্কে তথ্য পেতে এফবিআইয়ের এক এজেন্টকে ঘুষ দেওয়ায় দেশটির আদালতে গত বছর প্রবাসী এক বিএনপি নেতার ছেলের কারাদণ্ড হয়।

এরপর এ ঘটনায় জয়কে ‘অপহরণ করে হত্যার ষড়যন্ত্রের’ অভিযোগে ২০১৫ সালের ৩ অগাস্ট বাদী হয়ে রাজধানীর পল্টন মডেল থানায় মামলাটি করেন ডিবি পুলিশের পরিদর্শক ফজলুর রহমান।

মামলার অভিযোগ করা হয়, ২০১১ সালের সেপ্টেম্বর মাসের আগে যেকোনো সময় থেকে এ পর্যন্ত বিএনপি নেতা মোহাম্মদ উল্লাহ মামুনসহ বিএনপি ও বিএনপি নেতৃত্বাধীন জোটভুক্ত অন্যান্য দলের উচ্চপর্যায়ের নেতারা রাজধানীর পল্টনের জাসাস কার্যালয়ে, যুক্তরাষ্ট্রের নিউ ইয়র্ক শহরে, যুক্তরাজ্য ও বাংলাদেশের বিভিন্ন এলাকার একত্রিত হয়ে যোগসাজশে প্রধানমন্ত্রীর ছেলে জয়কে আমেরিকায় অপহরণ করে হত্যার ষড়যন্ত্র করেন।

মোহাম্মদ উল্লাহ মামুন বিএনপির সাংস্কৃতিক সংগঠন জাসাসের কেন্দ্রীয় সহ-সভাপতি ও যু্ক্তরাষ্ট্র বিএনপিরও সহ-সভাপতি ছিলেন।

স্ত্রী-সন্তান নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রে বসবাসরত জয়ের সম্পর্কে তথ্য পেতে এক এফবিআই এজেন্টকে ঘুষ দেওয়ার মামলার রায়ে দেশটিতে জেল খাটছেন মামুনের ছেলে রিজভী আহমেদ সিজার।

সেই রায়কে কেন্দ্র করে ঢাকায় করা মামলাটিতে গত বছরের ১৬ এপ্রিল যায়যায়দিন পত্রিকার সাবেক সম্পাদক শফিক রেহমানকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরে মাহমুদুর রহমানকেও এ মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করে পুলিশ।

বর্তমানে শফিক রেহমান ও মাহমুদুর রহমান দুজনেই জামিনে রয়েছেন।