ভিয়েতনামের প্রেসিডেন্টের সঙ্গে বাংলাদেশের স্পিকারের সাক্ষাত

ভিয়েতনামের রাষ্ট্রপতি ট্র্যান দাই কোয়াংয়ের সাথে সৌজন্য সাক্ষাত করেছেন বাংলাদেশের জাতীয় সংসদের স্পিকার ও সিপিএ নির্বাহী কমিটির চেয়ারপার্সন শিরীন শারমিন চৌধুরী।

নিজস্ব প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 21 July 2017, 02:46 PM
Updated : 21 July 2017, 02:46 PM

শুক্রবার ভিয়েতনামের হ্যানয়ে প্রেসিডেন্টের কার্যালয়ে তাদের এ বৈঠক হয় বলে জাতীয় সংসদের সহকারী পরিচালক (গণসংযোগ-১) মো. কামাল হোসেন জানান।

এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে তিনি বলেন, “সাক্ষাতের সময় তারা দ্বিপক্ষীয় স্বার্থ সংশ্লিষ্ট বিষয়ে আলোচনা করেন। দুই দেশের স্বাধীনতা সংগ্রাম, ইতিহাস, ঐতিহ্য, শিল্প সংস্কৃতি ও ব্যবসা-বণিজ্য, জলবায়ুর পরিবর্তন, পর্যটন নিয়ে তাদের বিস্তারিত আলোচনা হয়।”

শিরীন শারমিন চৌধুরী বৈঠকে বলেন, ভিয়েতনাম বাংলাদেশের অকৃত্রিম বন্ধু রাষ্ট্র।

স্বাধীনতা যুদ্ধের পর সদ্য স্বাধীন বাংলাদেশকে ভিয়েতনামের স্বীকৃতি দেওয়া এবং জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সঙ্গে ভিয়েতনামের নেতা হো চী  মিনের বন্ধুত্বের কথাও স্মরণ করেন স্পিকার।

তিনি বলেন, বাংলাদেশ অর্থনৈতিক ও সামাজিকসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে উন্নয়নের দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে। স্বল্প, মধ্য ও দীর্ঘমেয়াদী পরিকল্পনা বাস্তবায়নের মাধ্যমে ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত রাষ্ট্রে পরিণত হওয়ার লক্ষ্য নিয়ে বাংলাদেশ সরকার কাজ করছে।

দুই দেশের মধ্যে রাজনৈতিক ও কূটনৈতিক পর্যায়ে নীতি নির্ধারণী মতবিনিময় ও উচ্চ পর্যায়ের সফর বিনিময় এবং বাজার সম্পর্কিত তথ্য উপাত্ত ও কৌশল বিনিময়ের ওপর গুরুত্ব আরোপ করেন স্পিকার।

ভিয়েতনামের প্রেসিডেন্ট ট্র্যান দাই কোয়াং বলেন, বাংলাদেশ ও ভিয়েতনাম দীর্ঘ ও রক্তক্ষয়ী সংগ্রামের মধ্যে দিয়ে স্বাধীনতা লাভ করেছে। দুটি দেশই যুদ্ধবিধ্বস্ত অবস্থা থেকে দ্রুত উন্নতি লাভ করছে।

দুই দেশের বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক পারস্পরিক অর্থনৈতিক উন্নয়নেও ভূমিকা রাখবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।

বাংলাদেশ ও ভিয়েতনামের কৃষি উন্নয়নে দ্বিপক্ষীয় কর্মপরিকল্পনা গ্রহণের ওপর গুরুত্ব আরোপ করে প্রেসিডেন্ট বলেন, প্রযুক্তি হস্তান্তর ও কারিগরী সহযোগিতার মধ্য দিয়ে কৃষি প্রধান এ দুই দেশই উপকৃত হতে পারে।

বাংলাদেশ থেকে পাট ও পাটজাত দ্রব্য, ওষুধ, কৃষিজাত দ্রব্য ও কৃষি যন্ত্রপাতি নিতে আগ্রহ প্রকাশ করেন ভিয়েতনামের প্রেসিডেন্ট ট্র্যান দাই কোয়াং।

২০১২ সালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও ২০১৫ সালে রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদের ভিয়েতনাম সফরের কথা স্মরণ করে ট্র্যান দাই কোয়াং বলেন, ওই সফরের মধ্য দিয়ে দুই দেশের সম্পর্ক অনন্য উচ্চতায় পৌঁছেছে, যা মাইল ফলক হয়ে থাকবে।

বাংলাদেশের সংসদ সদস্য ইমরান আহমেদ, পংকজ নাথ, এএম নাঈমুর রহমান ও সংসদ সচিবালয়ের জ্যেষ্ঠ সচিব মো. আবদুর রব হাওলাদার বৈঠকের সময় উপস্থিত ছিলেন।