শাহবাগ থানার এসআই মাজহারুল ইসলাম বৃহস্পতিবার রাতে এ মামলা দায়ের করেন বলে ওসি আবুল হাসান জানান।
বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে তিনি বলেন, “পুলিশের কাজে বাধা দেওয়া এবং হত্যাচেষ্টার অভিযোগ আনা হয়েছে এ মামলার আসামিদের বিরুদ্ধে।”
তবে বৃহস্পতিবার ঘটনাস্থল থেকে আটক ১৩ শিক্ষার্থীকে কলেজ কর্তৃপক্ষের জিম্মায় ছেড়ে দেওয়া হবে জানিয়েছেন ওসি।
গত ফেব্রুয়ারি মাসে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত হওয়া ঢাকার সাত সরকারি কলেজের শিক্ষার্থীরা পরীক্ষার তারিখ ঘোষণাসহ সাত দফা দাবিতে বৃহস্পতিবার শাহবাগে জড়ো হয়ে বিক্ষোভ করে।
ঢাকা কলেজ, ইডেন মহিলা কলেজ, বেগম বদরুন্নেসা কলেজ, সরকারি তিতুমীর কলেজ, কবি নজরুল ইসলাম কলেজ, শহীদ সোহরাওয়ার্দী কলেজ ও মিরপুর বাঙলা কলেজের শিক্ষার্থীরা ওই বিক্ষোভে অংশ নেন।
তাদের অবস্থানের কারণে গুরুত্বপূর্ণ ওই সড়কে যান চলাচল বন্ধ হয়ে গেলে পুলিশ বাধা দেয়, এক পর্যায়ে শুরু হয় সংঘর্ষ। পরে পুলিশ কাঁদুনে গ্যাস ছুড়ে ও লাঠিপেটা করে শিক্ষার্থীদের ছাত্রভঙ্গ করে দেয়। তখনই ১৩ জনকে আটক করা হয়।
সংঘর্ষের সময় সিদ্দিকুর রহমান নামে সরকারি তিতুমীর কলেজের এক শিক্ষার্থীর চোখে মারাত্মক আঘাত লাগে। পরে তাকে জাতীয় চক্ষু হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
ওসির দাবি, শিক্ষার্থীরা পুলিশের দিকে ফুলের টব ছুড়ে মারার সময় সিদ্দিকুর চোখে আঘাত পান।
“আমরা হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের সাথে তার চিকিৎসার বিষয়ে কথা বলেছি, চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, তাকে পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে, ৪৮ ঘণ্টা পর তার চোখের অবস্থা তারা বলতে পারবেন।”
এদিকে শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের মুখে বৃহস্পতিবারই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে অধিভুক্ত সাতটি সরকারি কলেজের বিভিন্ন বর্ষের পরীক্ষার তারিখ চূড়ান্ত করে নোটিস দেওয়া হয়।
মাস্টার্স শেষ পর্বের পরীক্ষা ১০ সেপ্টেম্বর, অনার্স তৃতীয় বর্ষের পরীক্ষা ১৬ অক্টোবর এবং ডিগ্রি প্রথম ও তৃতীয় বর্ষের পরীক্ষা আগামী ৪ নভেম্বর শুরু হবে।
এছাড়া ডিগ্রি প্রথম বর্ষ, মাস্টার্স প্রথম ও শেষ পর্বের প্রাইভেট (রেজি) পরীক্ষা ২৫ জুলাই থেকে ২৯ অগাস্টের মধ্যে নেওয়ার সিদ্ধান্ত জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ।