বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ১০টায় তিনি ঢাকার শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছান বলে অধিকারের পরিচালক নাসির উদ্দিন এলান জানিয়েছেন।
মৃত্যুদণ্ডের বিধান রদের দাবিতে অ্যান্টি ডেথ পেনাল্টি এশিয়া নেটওয়ার্কের (এডিপিএন) আয়োজনে এক সম্মেলনে যোগ দিতে বৃহস্পতিবার ভোরে কুয়ালালামপুর পৌঁছান আদিলুর। কিন্তু বিমানবন্দর ইমিগ্রেশন পুলিশ এই আইনজীবীকে আটক ইমিগ্রেশনের হাজতখানা নিয়ে যায়।
বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে এলান বলেন, “ইমিগ্রেশন পুলিশ বিমানবন্দর থেকে বের হতে না দেওয়ায় আদিলুর রহমান খান শুভ্র সম্মেলনে যোগ না দিয়ে দেশে ফিরেছেন।”
আদিলুরকে আটক রাখার সময়ে বৃহস্পতিবার ব্যাংকক-ভিত্তিক আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংগঠন এশিয়ান ফোরাম ফর হিউম্যান রাইটস অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট (ফোরাম-এশিয়া) আদিলুরের মুক্তির দাবি জানায়; যিনি এই ফোরামের ভাইস-চেয়ারম্যানের দায়িত্বে রয়েছেন।
২০১৩ সালের ৫ মে রাতে মতিঝিলের শাপলা চত্বরে হেফাজতে ইসলামের সমাবেশ নিয়ে তথ্য বিকৃতির অভিযোগে তথ্য প্রযুক্তি আইনের মামলায় বাংলাদেশে আদিলুরের বিচার চলছে।
হেফাজতে ইসলামের কর্মীদের সরিয়ে দিতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সেসময় যে অভিযান চালায়, তাতে ৬১ জন নিহত হয় বলে সেসময় এক প্রতিবেদনে দাবি করে ডানপন্থিদের সমর্থনপুষ্ট হিসেবে পরিচিত সংগঠন অধিকার।
অধিকারের কাছে ‘নিহতদের’ নাম পরিচয় চেয়ে সরকারের পক্ষ থেকে চিঠি দেওয়া হলেও তারা তা দিতে অস্বীকার করে।
মতিঝিলে হেফাজতবিরোধী অভিযান নিয়ে তথ্য বিকৃতি, অসত্য তথ্য উপস্থাপন, ফটোশপের মাধ্যমে ছবি বিকৃত করে অধিকারের প্রতিবেদনে সংযুক্ত করা এবং জীবিত ব্যক্তিকে মৃত দেখানোর মতো অভিযোগ আনা হয় মামলার আসামি আদিলুর ও এলানের বিরুদ্ধে।
বিএনপি-জামায়াত জোট সরকার আমলের ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল আদিলুর ওই মামলায় গ্রেপ্তার হয়ে বেশ কিছুদিন কারাগারে থাকলেও পরে সুপ্রিম কোর্ট থেকে জামিনে মুক্তি পান।