বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ‘বিকৃত’ ছবি কার্ডে প্রকাশের অভিযোগের মামলায় বুধবার বরিশালে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তারিক সালমনের দুই ঘণ্টা হাজতবাসের ঘটনায় ক্ষোভ জানিয়ে এর জন্য দায়ীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা চেয়েছে তারা।
অ্যাসোসিয়েশনের মহাসচিব ও প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের মহাপরিচালক কবির বিন আনোয়ারের সভাপতিত্বে বৃহস্পতিবার সংগঠনের এক জরুরি সভায় এ প্রতিক্রিয়া আসে বলে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে।
তারিক সালমান বরিশালের আগৈলঝাড়ার ইউএনও থাকাকালে স্বাধীনতা দিবসের অনুষ্ঠানের আমন্ত্রণপত্রে বঙ্গবন্ধুর ছবি বিকৃত করে ছাপিয়েছিলেন অভিযোগ করে গত ৭ জুন মামলা দায়ের করেন জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি ওবায়েদ উল্লাহ সাজু।
ওই মামলায় সমন জারির প্রেক্ষাপটে নির্ধারিত দিন বুধবার আদালতে হাজির হন তারিক সালমান। এরপর তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন বরিশাল মুখ্য মহানগর হাকিম আদালতের বিচারক মো. আলী হোসেন।
আদালতের এই আদেশকে ‘নজিরবিহীন’ বলছে প্রশাসনিক ক্যাডারের কর্মকর্তাদের সংগঠন অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশন।
ওই আদেশের পর তারিকের সঙ্গে পুলিশের আচরণের নিন্দা জানিয়ে সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, “বাদী ও অন্যান্য আইনজীবী একটি কল্পিত বিষয় নিয়ে আদালতে অরাজক পরিস্থিতি ও চাপ সৃষ্টি করে। আদালতের আদেশে অভিযুক্ত হিসেবে জেল হাজতে নেওয়ার সময় কর্তব্যরত পুলিশ বাহিনীর সদস্যরা তার উপর বল প্রয়োগ করে এবং বেআইনিভাবে (পুলিশ রেগুলেশন এর ৩৩০ ধারা অমান্যপূর্বক) টেনে-হিঁচড়ে কোর্ট হাজতে নিয়ে যায়।
“রাষ্ট্রের একজন গুরুত্বপূর্ণ কর্মকর্তা এবং উপজেলা পর্যায়ে প্রজাতন্ত্রের প্রতিনিধির বিরুদ্ধে উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ও মানহানিকর আচরণের বিরুদ্ধে তীব্র নিন্দা ও ক্ষোভ প্রকাশ করা হয় সভায়।”
এই বিষয়টি সমাজের বিভিন্ন স্তরে ক্ষোভের সঞ্চার করেছে ও নিন্দিত হয়েছে বলেও বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়েছে।
ঘটনায় সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার আহ্বান জানিয়ে এতে বলা হয়, “নজিরবিহীন ও মানহানিকর আদেশ প্রদান, আইনবহির্ভূত পুলিশি কার্যক্রম এবং তথাকথিত নামধারী স্থানীয় রাজনৈতিক ব্যক্তিবর্গের বিরুদ্ধে কঠোর আইনআনুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে অনুরোধ জানানো হচ্ছে।”